রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ইহুদিবিদ্বেষী বলেছেন। গতকাল শুক্রবার ধর্মীয়ভাবে কট্টর ডানপন্থী সমর্থকদের এক সমাবেশে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলাকে এভাবে আক্রমণ করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, কমলা নবজাতকদের হত্যার অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
গত রোববার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সামনে চলে আসেন কমলা। বাইডেন নিজেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার সময় তাঁর দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কমলার প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন।
গত কয়েক দিনে জনমত জরিপগুলোয় ট্রাম্পকে জোর টক্কর দিচ্ছেন কমলা। এমনকি কখনো কখনো ট্রাম্পের থেকে এগিয়েও গেছেন।
দক্ষিণ ফ্লোরিডায় শুক্রবারের ওই সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বেশির ভাগ সময় জুড়ে কমলার বিষোদ্গার করে গেছেন। বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর থাকার সময়ে এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা কী কী করেছেন, তা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন। তবে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের বেশির ভাগ অভিযোগের সঙ্গেই বাস্তবতার মিল নেই।
গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ৫৯ বছর বয়সী কমলা সেদিন কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন না।
এর কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি ইহুদিদের পছন্দ করেন না। তিনি ইসরায়েলকে পছন্দ করেন না। এভাবেই এটা হয় এবং এভাবেই সব সময় এটা হতে থাকবে। তাঁর পরিবর্তন হবে না।’
ট্রাম্পের কমলাকে ইহুদিবিদ্বেষী বলা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে গত বুধবার নর্থ ক্যারোলাইনায় দেওয়া এক বক্তব্যেও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘কমলা হ্যারিস পুরোপুরি ইহুদি জনগণের বিপক্ষে।’
ট্রাম্প এভাবে কমলাকে ইহুদিবিদ্বেষী বলে আক্রমণ করতে চাইছেন। অথচ কমলার স্বামী ডগলাস এমহফ একজন ইহুদি।
কমলাকে ইহুদিবিদ্বেষী বলেই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প। কমলাকে আক্রমণ করতে তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, কমলা চিকিৎসকদের বাধ্য করতে চাইছেন যেন তাঁরা শিশুদের জন্মনিরোধ ওষুধ দেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যদি কমলা হ্যারিস নিজের পথে থাকেন, তবে তিনি গর্ভপাত বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় আইন জারি করবেন। যে আইনে মায়ের গর্ভ থেকে আট মাস, নয় মাসের শিশুদের বের করে নেওয়া হবে এবং এমনকি জন্মের পরও...নবজাতকদের হত্যা করা হবে।’
বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী এবং কমলার নির্বাচনী শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পেট বুটেজেজ এমএসএনবিসিকে বলেন, ট্রাম্পের এসব কথাবার্তায় বোঝা যায় তিনি ভয় পেয়েছেন। তিনি জানেন, এক মঞ্চে কমলার সঙ্গে থাকাটা তাঁর জন্য সুখকর হবে না।