রাষ্ট্রীয় গোপন নথি অব্যবস্থাপনার অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে আগামী বছরের মে মাসে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের নভেম্বরে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নির্বাচনে ট্রাম্পকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই ভোটের লড়াইয়ের কয়েক মাস আগে প্রচারণার সময় ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারে।
আলোচিত ওই মামলায় ট্রাম্পের বিচার কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক অ্যাইলেন ক্যানন। গতকাল তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২০ মে মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
যদিও প্রসিকিউটররা চলতি বছরের ডিসেম্বরে মামলাটির কার্যক্রম শুরুর পক্ষে ছিলেন। তবে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি আগামী বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর বিচার শুরুর অনুরোধ করেছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বিচারক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন ক্যানন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের কাছে রেখেছিলেন। দেশটির সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের আবশ্যিকভাবে তাঁদের সব নথি ও ই-মেইল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভে জমা দিতে হয়। কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর ট্রাম্প অনেক গোপন নথি হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর ফ্লোরিডার বাড়িতে সরিয়ে নেন।
ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গোপন নথি উদ্ধার করে এফবিআই। এসব নথির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন নথিও ছিল। পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মায়ামির আদালতে মামলা হয়। এ মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে এ ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়।