যুক্তরাষ্ট্রে ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন দ্য স্যাটানিক ভার্সেস-এর রচয়িতা ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি। শুক্রবার নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানমঞ্চে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় তাঁর ঘাড়ে এক হামলাকারী ছুরিকাঘাত করেন। পরে হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। খবর বিবিসির
নিউইয়র্ক পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী একজন পুরুষ। তিনি মঞ্চে উঠে রুশদি ও তাঁর সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ওপর হামলা চালান। রুশদির ঘাড়ে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করা হয়েছে। পরে হামলাকারীকে ধরে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
ওই ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রুশদি বেঁচে আছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রুশদিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী হেনরি রিজ মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে তা গুরুতর নয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক রিতা র্যান্ডম্যান নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তিনি রুশদিকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা করেন। ঘাড়ের ডান পাশে একটি ক্ষতসহ বেশ কয়েকটি ক্ষত হয়েছে তাঁর।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলাকারীর মুখে কালো মাস্ক ছিল। তিনি দর্শকদের মধ্য থেকে বেরিয়ে মঞ্চে উঠে পড়েন ও রুশদির ওপর হামলা চালান।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বুকার পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছর বয়সী লেখক রুশদি ১৯৮১ সালে তাঁর লেখা বই ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।
‘স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করেন মুসলিমরা। এটি প্রকাশের পর থেকে রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। বইটি প্রকাশের এক বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩ মিলিয়ন (৩০ লাখ) ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।
রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ দেশটির রাজনীতিবিদেরা নিন্দা জানিয়েছেন।