টাইটানিক দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না পাকিস্তানি ধনকুবেরের ছেলে সুলেমানের

টাইটান নামের সাবমেরিনটিতে ছিলেন পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর ছেলে সুলেমান দাউদ
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে সাবমেরিনে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে রওনা করার কয়েক দিন আগে থেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলেন ১৯ বছর বয়সী সুলেমান দাউদ। পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদের ছেলে তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বাবা দিবস উপলক্ষে বাবাকে খুশি করতে এ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী টাইটান সাবমেরিনে চড়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুলেমানের ফুফু আজমেহ দাউদ এসব কথা বলেছেন।

টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে গত রোববার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল টাইটান নামের সাবমেরিনটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সাবমেরিনটির। চার দিন মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর গতকাল সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান উদ্ধারকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আশপাশে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।

টাইটান সাবমেরিনে মোট পাঁচজন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর ছেলে সুলেমান দাউদ।

শাহজাদার বড় বোন আজমেহ বলেন, সুলেমান তাঁর এক আত্মীয়কে জানিয়েছিলেন, তিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যেতে চাইছেন না। তাঁর ভয় লাগছিল। তবে ভ্রমণের তারিখটি বাবা দিবসের সপ্তাহে পড়ায় বাবাকে খুশি করতে ভ্রমণে রাজি হন তিনি। কারণ, তাঁর বাবা শাহজাদা টাইটানিকের ব্যাপারে খুব উৎসাহী ছিলেন।

আমস্টারডামের বাড়ি থেকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজমেহ আরও বলেন, ‘সুলেমানের কথা মনে পড়ছে। ১৯ বছর বয়সী ছেলেটি হয়তো একটু শ্বাস নেওয়ার জন্য ছটফট করেছে।’

সমুদ্র পর্যটনে সাবমেরিনটি পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ দুর্ঘটনায় সাবমেরিনটির পাঁচ আরোহীই মারা গেছেন।