লুইজি মানজিওনে
লুইজি মানজিওনে

যুক্তরাষ্ট্রে বিমা কোম্পানির প্রধানকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তরুণ অভিযুক্ত

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যবিমা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্রায়ান থম্পসনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তরুণকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। লুইজি মানজিওনে নামের ওই তরুণের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

স্থানীয় সময় গত বুধবার ভোরের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানের হিলটন হোটেলের বাইরে ব্রায়ান থম্পসনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গতকাল সোমবার পেনসিলভানিয়ার আলটুনা শহরের ম্যাকডোনাল্ডসের একটি দোকান থেকে লুইজি মানজিওনে (২৬) নামের ওই তরুণকে আটক করা হয়। তাঁকে দেখে দোকানের একজন গ্রাহক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাঁকে আটক করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।

পুলিশ বলেছে, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন লুইজি মানজিওনে। তাঁর পরিবার ম্যারিল্যান্ডে থাকে। মানজিওনের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং হাতে লেখা কাগজপত্র পাওয়া গেছে। ওই কাগজ থেকে তাঁর চিন্তাভাবনা ও তিনি কীভাবে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

পরে পাঁচটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করতে মানজিওনেকে পেনসিলভানিয়ার আদালতে হাজির করা হয়। মানজিওনের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন মঞ্জুর করেননি আদালত।

কয়েক ঘণ্টা পর নিউইয়র্কের তদন্তকারী কর্মকর্তারা মানজিওনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্রসংক্রান্ত অভিযোগসহ আরও চারটি অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

মানজিওনে এখন পেনসিলভানিয়ার কারাগারে আছেন।

গতকাল মানজিওনেকে যখন আদালতে হাজির করা হয়, তখন তাঁর হাতে হাতকড়া ছিল। তাঁর পরনে ছিল জিনস ও গাঢ় নীল রঙের জার্সি। আদালতে শুনানির সময়ে তাঁকে শান্ত দেখাচ্ছিল। মাঝেমধ্যে গণমাধ্যমকর্মীসহ যাঁরা সেখানে উপস্থিতি ছিলেন, তাঁদের দিকে তাকাচ্ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড হেলথকেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ব্রায়ান থম্পসন মিনেসোটায় থাকতেন। ঘটনার দিন একটি বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে তিনি নিউইয়র্কে এসেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, পেছন থেকে ব্রায়ানকে গুলি করা হয়। তাঁর শরীরের পেছনের অংশে ও পায়ে গুলি লাগে। হামলার কিছুক্ষণ আগে একটি কফি শপে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে দেখা গিয়েছিল। ওই কফি শপের নিরাপত্তা ক্যামেরা থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারীর ফুটেজ শনাক্ত করা হয়। পরে তাঁর ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে ছবি দেখেই ম্যাকডোনাল্ডের গ্রাহক মানজিওনেকে শনাক্ত করেন।