ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলার অনুমতি দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চটেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা। এ নিয়ে কড়া সমালোচন করছেন তাঁরা। বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তে যুদ্ধ আরও সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে মস্কোও।
ট্রাম্পশিবিরে বাইডেনের এই সমালোচকদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, মার্কিন কংগ্রেসে তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির কট্টরপন্থী সদস্যসহ আরও অনেকে। তাঁরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ বাধাতে চাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
গত ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। সে পর্যন্ত দেশ সামলাবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি খবর বের হয়, ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলার অনুমতি দিয়েছেন তিনি।
বাইডেনের ওই অনুমতির পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমার বাবা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জীবন বাঁচানোর সুযোগ পাওয়ার আগেই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স (সামরিক বাহিনী ও অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।’
বাইডেনের কড়া সমালোচনা করছেন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে কাজ করা রিচার্ড গ্রেনেলও। তিনি লিখেছেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়ে বাইডেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন, তা কেউ ধারণা করেননি। বিষয়টি এমন, তিনি নতুন একটি যুদ্ধ শুরু করেছেন। ফলে সব বদলে গেল। আগের সব হিসাব–নিকাশ এখন অকার্যকর।’
অন্যান্য সমালোচনাকারীর মধ্যে রয়েছেন কট্টর ডানপন্থী কংগ্রেস সদস্য মার্জরি টেইলর গ্রিনি এবং ইউটা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর মাইক লি। মাইক বলেছেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে দিলেন জো বাইডেন। এটা যেন সত্যি না হয়; আসুন, সেই প্রার্থনা করি।’
বাইডেনের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। গতকাল সোমবার তিনি বলেছেন, আমেরিকার জনগণ জো বাইডেনকে নির্বাচিত করেছেন চার বছরের জন্য, তিন বছর ১০ মাসের জন্য নয়। তাই মার্কিনদের পক্ষে যায়, এমন পররাষ্ট্রবিষয়ক স্বার্থগুলো পূরণে বর্তমান সরকারের মেয়াদের প্রতিটি দিন ব্যবহার করা হবে।