দাঁতের সমস্যায় ভুগছিল একটি পোষা কুকুর। তাই কুকুরটির মালিক সেটিকে প্রাণী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক দেখে বলেন, কুকুরটির কয়েকটি দাঁত তুলে ফেলতে হবে। এ জন্য আনুষঙ্গিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে হয়। সব মিলিয়ে খরচ হয় পাঁচ হাজার ডলার।
কুকুরের দাঁত তুলতে এসে খরচের এই অঙ্ক দেখে মালিকের চক্ষু চড়কগাছ! পুরো ঘটনা তিনি নিউজ ও কনটেন্ট শেয়ারিং কমিউনিটি রেডিটে পোস্ট করে বেশ শোরগোল ফেলেছেন।
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের। গতকাল শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেডিটের ওই পোস্টে পোস্টদাতা জানান, পোষা কুকুরের সামান্য দাঁতের সমস্যা থেকে তাঁর এত খরচ হয়ে যাবে, সেটা তিনি ভাবতেও পারেননি। দাঁত তোলার জন্য প্রাণী চিকিৎসক কুকুরটিকে অজ্ঞান করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। হঠাৎ কুকুরটি দেখতে অনেকটা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এতে চিকিৎসককে প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে দিতে হয়।
এ সময় চিকিৎসক বলেন, কুকুরটির আরও কিছু শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। জানতে হবে প্রাণীটির শারীরিক অবস্থা। এরপরই চিকিৎসা শুরু হবে। এ জন্য কুকুরটির রক্ত ও হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করা হয়। তবে এসব পরীক্ষায় কিছুই ধরা পড়েনি। পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর চিকিৎসক দাঁত তুলতে রাজি হন।
তবে এর আগে কুকুরটির মুখের এক্স-রে করা হয়। পরে প্রাণীটির দাঁত তোলা হয়। এখানেই শেষ নয়, তুলে ফেলা দাঁত বায়োপসি করতে পাঠানো হয়। কেননা ক্যানসারজনিত কোনো সমস্যায় ভুগছে কি না কুকুরটি, তা চিকিৎসক নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন।
এভাবেই খরচ হয় পাঁচ হাজার ডলার। আর খরচের এই অঙ্ক দেখে চোখ কপালে ওঠে কুকুরের মালিকের। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের পোষা কুকুরটির জন্য সাধ্যমতো সবকিছু করার চেষ্টা করেছি। তবে কপাল ভালো চিকিৎসার এই ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। যদিও অনেকেই বলছেন, আমরা পুরো পাঁচ হাজার ডলার জলে ঢেলেছি।’