ইসরায়েলকে সহায়তায় বিমানবাহী দ্বিতীয় রণতরি পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন রণতরি ইউএসএস আইজেনহাওয়ার
ফাইল ছবি: এএফপি

ইসরায়েলকে সহায়তার অংশ হিসেবে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বিমানবাহী দ্বিতীয় রণতরিবহর পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যে গতকাল শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই ঘোষণা দিয়েছেন।

লয়েড অস্টিন বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকানো বা হামাসের হামলার পর যুদ্ধ আরও প্রসারিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা রুখতে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

চলমান সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে আগে ইসরায়েলের কাছাকাছি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের রণতরিবহর মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এখন এই রণতরির সঙ্গে যোগ দেবে ইউএসএস আইজেনহাওয়ার যুদ্ধজাহাজ বহর।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের অঙ্গীকারের ইঙ্গিত বহন করে এই পদক্ষেপ। যেকোনো রাষ্ট্রীয় বা অরাষ্ট্রীয় শক্তি, যারা এই সংঘাতকে বাড়িয়ে দিতে চাইছে, তাদের প্রতিহতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংকল্পের ইঙ্গিত এই পদক্ষেপ।

হামাসের হামলায় ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজায় নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে সমরাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সংঘাত না বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশকে সতর্ক করেছে।

দ্বিতীয় রণতরি মোতায়েনের ঘোষণার দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এই ফোনালাপে বাইডেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা-প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ওপর জোর দিয়েছেন।

বাইডেন-নেতানিয়াহুর মধ্যকার ফোনালাপ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিবৃতিতে সুনির্দিষ্ট করে গাজা উপত্যকার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে গাজা অবরুদ্ধ করে উপত্যকাটিতে নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় সব প্রচেষ্টার জন্য তাঁর সমর্থন নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বাইডেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর আব্বাসের সঙ্গে প্রথম কথা বললেন বাইডেন। এই ফোনালাপে তিনি ইসরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ফোনালাপে আব্বাসকে বাইডেন বলেছেন, হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতিনিধিত্ব করে না।