মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় তাইওয়ান ইস্যুটি প্রাধান্যের শীর্ষে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আভাস দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন বাইডেন ও সি। এ সম্মেলনে বাইডেন ও সি মুখোমুখি হবেন। সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতা বৈঠক করবেন।
বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তিনি সির সঙ্গে সশরীর বৈঠক করতে যাচ্ছেন। তাঁরা এমন একসময় বৈঠক করতে যাচ্ছেন, যখন দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়েছে।
গতকাল হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, বালিতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে। হোয়াইট হাউসের এ ঘোষণার পর একটি সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাইডেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমরা তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা করব। আমি তাঁর সঙ্গে আলোচনার সময় একটি রূপরেখা তৈরি করতে চাই। এতে আমাদের সর্বোচ্চ সীমা (রেড লাইন) উল্লেখ থাকবে।’
বাইডেন বলেন, এভাবে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবে কি জড়াবে না। তারা যদি সংঘাতে জড়িয়েও যায়, তাহলে কীভাবে তার সমাধান করতে হবে, তারও উত্তর সেখানে থাকবে।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। তবে চীনের এ দাবি নাকচ করে আসছে তাইওয়ান। তারা নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। তাইওয়ান ইস্যু বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত আগস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। চীনের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও পেলোসির তাইওয়ান সফরে ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করে চীন।
গতকাল হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাইডেন-সির মধ্যে বৈঠকে যে ফলাফল আসবে, তা তারা তাইওয়ানকে জানাবে।
ইতিমধ্যে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের সঙ্গে একত্রে কাজ করা, যাতে ভুল-বোঝাবুঝিসহ অন্যায্য আচরণ এড়ানো যায়।