যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও তাঁর স্বামী ডগলাস এমহফ
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও তাঁর স্বামী ডগলাস এমহফ

কমলা হ্যারিসের স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন, জানালেন নিজেই

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শক্তিশালী প্রার্থী কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। গতকাল শনিবার সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডগলাস এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে কমলা হ্যারিস নন, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করা অবস্থায় পরকীয়ায় জড়ান তিনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ডগলাসের এই সম্পর্কের খবর ফাঁস করে দেয়। এর পরেই সিএনএনকে দেওয়া বিবৃতিতে সেটা স্বীকার করে নেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’।

বিবৃতিতে ডগলাস বলেন, ‘আমার প্রথম দাম্পত্যজীবনে, কার্সটিন (ডগলাসের প্রথম স্ত্রী) ও আমার বেশ কঠিন একটি সময় এসেছিল। আমার কারণেই সেটা হয়েছিল। আমি এর দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। পরে আমরা পরিবার হিসেবে একসঙ্গে ওই সময় পার করেছিলাম এবং আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলাম।’

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনের তথ্য, ডগলাস এক সময় তাঁর ছোট্ট মেয়ের শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। আর এই কারণে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছিল।

১৯৯২ সালে কার্সটিনের সঙ্গে ডগলাসের বিয়ে হয়। আর ২০০৮ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। বছর খানেক পর কমলার সঙ্গে ডগলাসের প্রেমের শুরু। ২০১৪ সালে কমলাকে বিয়ে করেন তিনি।

বছর চারেক আগে জো বাইডেন যখন কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন তখন কমলার স্বামীর আগের সেই পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ডগলাসের পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন  সিএনএনকে বলেন, বিয়ের আগেই ওই সম্পর্কের বিষয়টি কমলাকে জানিয়েছিলেন ডগলাস।

ডেইলি মেইলের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডগলাসের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে ওই নারী গর্ভধারণ করেছিলেন। তবে তিনি সন্তানের জন্ম দেননি। যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ডগলাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরের মুখপাত্র ব্রায়ান ফ্যালনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

ডগলাসের সাবেক স্ত্রী কার্সটিন বলেন, ‘অনেক বছর আগে বেশকিছু কারণে আমি ও ডগলাস বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তিনি আমার সন্তানদের অসাধারণ একজন বাবা। এখনো আমার বেশ ভালো একজন বন্ধু। আমি তাঁর ও কমলার উষ্ণ ও সহযোগিতামূলক সংসারজীবন নিয়ে গর্বিত।’