সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার

শতবর্ষে পা রাখার ১৫ দিন পর ভোট দিয়ে ইচ্ছাপূরণ জিমি কার্টারের

১০০ বছর বয়সে পা রাখার ১৫ দিন পর গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন জিমি কার্টার। এই ভোটদানের মধ্য দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কার্টারের একটি ইচ্ছাও পূর্ণ হলো।

কার্টার আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত তিনি বাঁচতে চান।

কার্টার সেন্টারের তথ্যমতে, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা মেইলের মাধ্যমে তাঁর ভোট দিয়েছেন।

১৯৮১ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়েন কার্টার। এরপর তিনি বিশ্বকূটনীতির বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার জন্য অলাভজনক সংস্থা কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন।

একজন অজনপ্রিয় নেতা হিসেবে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন কার্টার। পরে অবশ্য তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখা যায়।

কার্টারের নিজ অঙ্গরাজ্য জর্জিয়া। এই অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটের সুবিধাটি নিয়েছেন তিনি।

আটলান্টা জার্নাল-কনস্টিটিউশন পত্রিকার তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরুতে কার্টার তাঁর পরিবারকে বলেছিলেন, কমলাকে ভোট দেওয়ার জন্য, তাঁর রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত তিনি বাঁচতে চান। শতবর্ষী হওয়ার চেয়ে এই বিষয়টি তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ পর্যন্ত কার্টার উভয় মাইলফলকই স্পর্শ করলেন।

জর্জিয়ায় গত মঙ্গলবার আগাম ভোট শুরু হয়। অঙ্গরাজ্যটিতে ইতিমধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েল স্টার্লিং এই তথ্য জানিয়েছেন।

আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কার্টার এক মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জর্জিয়ায় নিজ শহর প্লেইনসে জীবনের শেষ সময়ের সেবাযত্নে রয়েছেন।

কার্টার প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি শতবর্ষে পদার্পণের মাইলফলক অর্জন করলেন।