যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য পুলিশ বলেছে, সেখানকার স্থানীয় এক ব্যক্তির গ্যারেজে মরচে ধরা পুরোনো যে রকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেটি আসলে একটি অকেজো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র।
গত বুধবার ওহাইওর একটি সামরিক জাদুঘরের কর্তৃপক্ষ এক অস্বাভাবিক অনুদান প্রস্তাবের ব্যাপারে খোঁজ নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানায়। পরে সম্ভাব্য দাতার বাড়িতে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল পাঠায় পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডিভাইসটি মূলত একটি ডগলাস এআইআর–২ জিনি (আগের নাম এমবি–১) ; যা আকাশপথ থেকে আকাশপথে নিক্ষেপযোগ্য অনগাইডেড রকেট। দেড় কিলোটন ডব্লিউ ২৫ পরমাণু যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম এটি।
তবে যা হোক, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে কোনো যুদ্ধাস্ত্র যুক্ত নেই। যার অর্থ, এটি আর বিপজ্জনক নয়।
বেলভিউ পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সেথ টাইলার শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, ‘এটি আসলে রকেটের জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত একটি গ্যাস ট্যাংক।’ ঘটনাটি আদৌ গুরুতর কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। টাইলার আরও বলেন, ‘আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্য আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, একটা অকেজো ধাতব টুকরাকে নিয়ে কেন আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছি।’
ওই ঘটনায় ওহাইওর ডেটন শহরের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর জাতীয় জাদুঘরের কাছ থেকে পুলিশকে ফোন করা হয়েছিল।
টাইলার বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট গ্যারেজমালিক খুব বিরক্ত এবং তিনি পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। এ নিয়ে আমাদের সদস্যরা যে তাঁর বাড়িতে যাবেন, সেটিও আশা করেননি তিনি। সম্ভবত জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তাঁকে এ ব্যাপারে অবগত করেনি যে ঘটনাটি তারা পুলিশকে জানাবে। তবে আমাদের কাজে তিনি যথেষ্ট উদারতা দেখিয়েছেন। পরে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে এটি (পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র) নিরাপদ।’
ওই কর্মকর্তা কখনো আশা করেননি, ওই ব্যক্তির বাড়িতে কোনো পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র থাকতে পারে। যার অর্থ, সিয়াটল থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে দেড় লাখ বাসিন্দার শহরটি থেকে গণহারে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কোনো দরকার নেই।
ঘটনাটি নিয়ে গ্যারেজমালিক পুলিশকে বলেন, ওই রকেট তাঁর এক প্রতিবেশীর। তিনি মারা গেছেন। প্রকৃতপক্ষে এটি এক নিলাম থেকে কেনা হয়েছিল।
সিয়াটল টাইমস–এর বরাতে খবরে বলা হয়, রকেটটি স্নায়ুযুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ব্যবহার করে।