হোপ হিকস, হোয়াইট হাউসের সাবেক যোগাযোগ পরিচালক। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মুখপাত্র ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে চলমান মামলায় সাক্ষ্য দেন হিকস। সওয়াল–জবাবের শেষপর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
এ সময় নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিকস বলেন, ‘আমি সত্যিই বেশ বিচলিত (নার্ভাস) বোধ করছি।’
দুই দফায় হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক ছিলেন হিকস। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গতকালের প্রশ্নোত্তরের একপর্যায়ে আদালতে কেঁদে ফেলেন হিকস।
ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আদালতকে জানান হিকস। সেই সঙ্গে ২০০৫ সালে রেকর্ড করা ট্রাম্পের একটি কথোপকথনের বিষয়েও নিজের অবস্থান জানান তিনি। ওই কথোপকথনে ট্রাম্প নারীদের নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এটা বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।
এটা নিয়ে হিকসকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, এটা শুনে তিনি ‘অনেকটাই স্তব্ধ’ হয়ে পড়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন, এটা বেশ বড় একটা গল্প হতে চলেছে।
ওই সময় ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে ওই টেপ এসেছিল। এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রচারণা দলের মন্তব্য জানতে চেয়ে হিকসকে ই–মেইল করেছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ডেভিড ফারেনহোল্ড।
তখন ডেভিডের ওই ই–মেইল প্রচার দলের জ্যেষ্ঠ কয়েকজনকে ফরোয়ার্ড করেন হিকস। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র জ্যাসন মিলার, কেলিয়ান কনওয়ে ও স্টিভ ব্যানন।
ই–মেইলের সঙ্গে হিকস দুটি বিষয় যুক্ত করে দেন, ‘এক. নিশ্চিত হওয়ার জন্য টেপটি শুনুন। দুই. অস্বীকার করুন, অস্বীকার করুন ও অস্বীকার করুন।’
এ ঘটনায় ট্রাম্পের প্রচার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন হিকস। এরপর তাঁরা ই–মেইলের বিষয়টি ট্রাম্পকেও জানান। আদালতে এমনটি বলেছেন হিকস।
হিকস বলেন, এ ঘটনায় সবাই একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন। ওই সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, এমন কিছু তিনি বলেননি। হিকস আরও বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম।’
যদিও আদালতে ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।