ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির অবস্থা গুরুতর। তবে তিনি এখনো উচ্ছল রয়েছেন। হাসিঠাট্টাও করছেন। রুশদির ছেলে জাফর রুশদি এসব কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।
জাফর রুশদি বলেন, তাঁর বাবাকে যেভাবে আঘাত করা হয়েছিল, তাতে তাঁর জীবন নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে সাহিত্যবিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ৭৫ বছরের রুশদিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
জাফর রুশদি এক টুইটে বলেন, ‘নিউইয়র্কে শুক্রবারের হামলার পরে আমার বাবা গুরুতর আহত অবস্থায় পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
পেনসিলভানিয়ায় গত শনিবার হাসপাতালে রুশদির ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়। ওই দিন জাফর রুশদি বলেন, তাঁর বাবা অল্প অল্প কথা বলতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, আঘাত গুরুতর হলেও রুশদি উচ্ছল রয়েছেন। এখনো তাঁর হাস্যরসের বোধ ঠিকঠাক আছে।
এর আগে সালমান রুশদির সহকারী অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেন, রুশদি সুস্থ হওয়ার পথে। পুরোপুরি সুস্থ হতে তাঁর আরও সময় লাগতে পারে। তাঁর আঘাতগুলো গুরুতর। তবে তিনি সুস্থতার দিকে যাচ্ছেন।
রুশদির সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম হাদি মাতার (২৪)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি মঞ্চে দৌড়ে গিয়ে রুশদিকে মুখে, গলায় ও পেটে কমপক্ষে ১০ বার ছুরিকাঘাত করেন। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জেসন স্কিমিড বলেছেন, মাতার পরিকল্পিতভাবে রুশদির ওপর হামলা করেন। বিচারক জামিন ছাড়া মাতারকে আটক রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রুশদির সহকারী ওয়াইলি আরও বলেন, রুশদির যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি চোখও হারাতে পারেন। রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিকরা নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনও রুশদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
রুশদির হামলাকারী হাদি মাতারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ড দেখে তাঁকে কট্টরপন্থী শিয়া মতাবলম্বী এবং ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে মনে করা হচ্ছে।