রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দিতে পারবেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এমন দাবি করেন তিনি। খবর ইন্ডিপেনডেন্টের
ট্রুথ সোশ্যালের প্রতিষ্ঠা করেছেন ট্রাম্প নিজেই। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতাম, তাহলে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ কখনোই বাধত না। আর এখনো যদি আমি প্রেসিডেন্ট হই, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই ভয়াবহ ও দ্রুত বাড়তে থাকা যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারি। কত করুণভাবেই না মানুষের জীবন নষ্ট হচ্ছে!’
এদিকে গতকাল শুক্রবার আরেকটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার পারবাণবিক হামলার হুমকির দিকে ইঙ্গিত করে ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, বিদেশি শক্তিগুলো এখন খোলাখুলিভাবে পারমাণবিক হামলা শব্দটি মুখে আনছে। এর অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে (প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন) তারা কোনো সম্মান দিচ্ছে না। এই শব্দ ব্যবহার করার অনুমতি তাঁদের কারও দেওয়া হয়নি। আর তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন কেউ পরমাণবিক হামলার কথা তোলেনি।
ভবিষ্যতে বিশ্বযুদ্ধ বাধলে তার পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়েও ভিডিওটিতে কথা বলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, ‘অন্য যেকোনো যুদ্ধের চেয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিপর্যয়কর হবে। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মনে হবে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ খুবই ছোট ছিল। এমন যুদ্ধ যেন কখনো না বাধে তা নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, এমন প্রযুক্তি ও শক্তি নিয়ে প্রস্তুত থাকা, যার কোনো মোকাবিলা কেউ করতে পারবে না।’
এ সময় শত্রুর হামলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি যখন রাষ্ট্রপ্রধান হবেন, তখন ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোমের’ মতো পরবর্তী প্রজন্মের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষকে রক্ষা করতে অবশ্যই এমন একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হাতে রাখতে হবে, যেটি হবে ‘অভেদ্য’।
আকাশপথে শত্রুদের হামলা ঠেকাতে আয়রন ডোম ব্যবহার করে বড় সফলতা পাচ্ছে ইসরায়েল। এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শত্রুদের ছোড়া রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করতে পারে। বলা যায় গত বৃহস্পতিবার রাতের কথাই। সেদিন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দুটি রকেট ছোড়া হয়েছিল। পরে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, আয়রন ডোম ব্যবস্থায় ওই রকেটগুলো ধ্বংস হয়েছে।