যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর নথি দেখতে পারবে ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস কমিটি। কংগ্রেস কমিটিকে কর নথি না দিতে ট্রাম্পের করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। খবর বিবিসির
ট্রাম্পের আর্থিক নথি চেয়ে কংগ্রেস প্যানেলের করা আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন দেশটির নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের এই আদেশ আটকে দিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে ট্রাম্পের আবেদন নাকচ হয়েছে।
ট্রাম্পের আবেদন নাকচ করে গতকাল মঙ্গলবার সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। আদেশে সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেননি।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ ট্রাম্পের জন্য একটা বড় ধাক্কা। কারণ, তিনি বছরের পর বছর ধরে নিজের কর নথি গোপন রেখে আসছিলেন। কিন্তু এখন তা দেখার সুযোগ পাবে কংগ্রেস কমিটি।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জয়ী হন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ বছরের মধ্যে ট্রাম্পই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যিনি এই পদে প্রার্থিতা ঘোষণার পর নিজের কর নথি প্রকাশ করেননি।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে ট্রাম্প পরাজিত হন। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
নিজের ব্যবসা-সম্পর্কিত বিষয়ে একাধিক তদন্তের মুখে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে তিনি অন্যায় কিছু করার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ‘ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটি’ কর-সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করে। এই কমিটি ২০১৯ সাল থেকে ট্রাম্পের কর নথি চেয়ে আসছে।
সুপ্রিম কোর্টের গতকালের সিদ্ধান্তের ফলে দেশটির অর্থ দপ্তর ট্রাম্পের ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের ট্যাক্স রিটার্নসহ তাঁর ব্যবসা-সংক্রান্ত নথি ডেমোক্র্যাট–নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস কমিটির কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানরা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের ঠিক আগমুহূর্তে সুপ্রিম কোর্ট থেকে এমন আদেশ এল।
সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতিদের মধ্যে তিনজনকে ট্রাম্প নিয়োগ দিয়েছিলেন। রক্ষণশীল-নিয়ন্ত্রিত এই সুপ্রিম কোর্টে চলতি বছর আরও দুটি পরাজয়ের মুখে পড়েন ট্রাম্প।