মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আগামী শুক্রবার আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন। ইসরায়েল সফরের মধ্য দিয়ে তাঁর এ ভ্রমণ শুরু হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েল সরকারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন। এরপর তিনি অঞ্চলটির অন্য জায়গাগুলোও ভ্রমণ করবেন।’
এর আগে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলো দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে ব্লিঙ্কেনের সম্ভাব্য সফরের খবর প্রকাশ করেছিল।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ সংঘাত শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সংহতি জানাতে ইসরায়েল সফর করেছিলেন ব্লিঙ্কেন। ওই সময় ইসরায়েল থেকে জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সফরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর আবার ইসরায়েলে যান।
১৮ অক্টোবর তেল আবিবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক দিনের সফরের সময়েও তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্লিঙ্কেন। এই সফরে বাইডেন ইসরায়েল সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের হিসাব অনুসারে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ২৩০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকও আছেন।
আর গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, অঞ্চলটিতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধুরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে।
ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত তহবিল প্রদানের প্রস্তাব পাস করতে কংগ্রেসে অনুরোধ জানিয়েছেন বাইডেন।
এ তহবিল বরাদ্দের পক্ষে যুক্তি দেখাতে গতকাল ব্লিঙ্কেন মার্কিন পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন। তবে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে বারবারই সিনেট শুনানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছিলেন—‘এখনই যুদ্ধবিরতি চাই’, ‘ফিলিস্তিনিরা জন্তু নয়’, ‘আপনাদের সবাইকে ধিক্কার’। পরে ওই বিক্ষোভকারীদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
শুনানিতে বর্তমান সংঘাতের পর কী হতে পারে, তা নিয়েও কথা বলেছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি মনে করেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের উচিত হামাসের কাছ থেকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। ২০০৭ সাল থেকে গাজার শাসনক্ষমতায় আছে হামাস।