যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখিকা ই জিন ক্যারলকে যৌন হয়রানি এবং তাঁর মানহানি করেছেন। এ জন্য ক্যারলকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেবেন ট্রাম্প। নিউইয়র্কের একটি আদালতের গঠন করা জুরির সদস্যরা মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন।
তবে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করবেন। অবশ্য আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে হবে না। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এই দেওয়ানি মামলার বিচারকাজ চলাকালে দেওয়া সাক্ষ্যে ক্যারল (৭৯) বলেছেন, ১৯৯৫ বা ৯৬ সালে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্ট স্টোরের পোশাক পরিবর্তন কক্ষে ট্রাম্প তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে এ দাবিকে ‘প্রতারণা’ ও ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প তাঁর মানহানি করেছেন।
ম্যানহাটন ফেডারেল কোর্টে নয় সদস্যের জুরি ক্যারলকে ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা হিসেবে ৫০ লাখ ডলার প্রদানের আদেশ দেন। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্মতি ছাড়া শারীরিক স্পর্শের জন্য ২০ লাখ ডলার আর মানহানি করায় ৩০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। অবশ্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
গত ২৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এই বিচারকাজের পুরোটা সময় অনুপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। তাঁর ভিডিও বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এই রায়কে ‘অসম্মানজনক’ অভিহিত করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ‘এই নারী সম্পর্কে আমার কোনো রকম ধারণা নেই।’
পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিমধ্যে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। স্টরমির দাবি, ২০০৬ সালে দুজন শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাঁকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। তবে এ অভিযোগও অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।