যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জর্ডানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনাগুলোতে সামরিক হামলা চালাতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিশোধমূলক এ হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাইডেন এসব কথা বলেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক ও সিরিয়ার ভূখণ্ডে গতকাল শুক্রবার বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত রোববার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। ওই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন।
গতকাল হামলার পর বাইডেন বলেন, ‘আমরা আজ থেকে জবাব দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের নির্ধারণ করা সময় অনুযায়ী নির্ধারিত জায়গাগুলোতে হামলা চলবে।’
মধ্যপ্রাচ্য কিংবা বিশ্বের কোথাও যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত চায় না বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায়, তাদের সতর্ক করে বাইডেন বলেন, ‘কোনো মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি করলে আমরা তার জবাব দেব।’
এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি গতকাল বলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধুক, তা যুক্তরাষ্ট্র চায় না। সিরিয়া ও ইরাকে ইরানসংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কথা ভাবছি না।’
কারবি আরও বলেন, সাতটি আলাদা স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এসব বিমান হামলায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে যাওয়া বি-১ বোমারু বিমানও হামলায় অংশ নিয়েছিল। এতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণে কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন কারবি। তিনি বলেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, অভিযান সফল হয়েছে। সামনে এমন জবাব আরও দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন কারবি।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইরাক। একে দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে বাগদাদে এক মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের প্রধানমন্ত্রী দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কারবি বলেন, হামলার আগে ইরাক সরকারকে এ ব্যাপারে জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। তবে সে তথ্যের ব্যাপারে বাগদাদ কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল, তা বিস্তারিতভাবে বলেননি তিনি।