যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নেভাডা মরুভূমিতে এ সপ্তাহান্তে রহস্যময় এই ধাতবদণ্ড দেখতে পায় পুলিশ
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নেভাডা মরুভূমিতে এ সপ্তাহান্তে রহস্যময় এই ধাতবদণ্ড দেখতে পায় পুলিশ

নেভাডার মরুভূমিতে কোথা থেকে এল নিখুঁত ধাতবদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডার মরুভূমিতে এ সপ্তাহান্তে রহস্যময় একটি ধাতবদণ্ড দেখা গেছে। এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ধাতবদণ্ড দেখা গেছে। তবে বরাবরের মতো এবারও কোথা থেকে এই ধাতবদণ্ড এসেছে বা কেউ এটা রেখে গেছে কি না, সেসব প্রশ্নের উত্তর অজানাই রয়ে গেছে।

ফক্স নিউজ জানায়, লাস ভেগাস পুলিশ প্রথম ধাতবদণ্ডটি দেখতে পায়। লাস ভেগাস ভ্যালির উত্তর প্রান্তে একটি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে গিয়েছিল পুলিশ। ওই অভিযানের সময় তাঁরা রহস্যময় ওই ধাতবদণ্ড দেখতে পায়।

পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা অনেক উদ্ভট জিনিস দেখি...কিন্তু দেখুন এটা!’

২০২০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একই ধরনের বেশ কয়েকটি ধাতবদণ্ড দেখা গেছে।

লাস ভেগাস থেকে উত্তরে এক ঘণ্টার দূরত্বে নেভাডা মরুভূমির একটি হাইকিং এলাকায় পাওয়া যাওয়া ওই ধাতবদণ্ড। এটি দেখতে উঁচু, চতুষ্কোণ ও আয়নার মতো চকচকে। এতে আশপাশের সবকিছু প্রতিফলিত হয়। অন্য ধাতবদণ্ডগুলোও দেখতে অনেকটা এটার মতোই ছিল।

পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ছবি পোস্ট করেছে, সেটায় দেখা যায়, খানিকটা রুক্ষ পাথুরে ভূখণ্ডের ওপর ধাতবদণ্ডটি দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ লিখেছে, ‘কীভাবে এটিকে সেখানে তোলা হলো?’

১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া মার্কিন কল্পকাহিনিনির্ভর সিনেমা ‘২০০১: আ স্পেস অডিসি’-তে এ ধরনের একটি দণ্ড দেখানো হয়। স্ট্যানলি কুবরিক পরিচালিত ওই সিনেমায় কালো রঙের দণ্ডটি অদেখা কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী (এলিয়েন) তৈরি করেছিল এবং পৃথিবীতে স্থাপন করেছিল বলে দেখানো হয়। আর্থার সি ক্লার্কের ছোট গল্প ‘দ্য সেন্টিনেল’ অবলম্বনে ওই সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়।

প্রায় চার বছর আগে প্রথম এই ধরনের ধাতবদণ্ড দেখা নিয়ে খবর আসতে শুরু করে। ২০২০ সালের নভেম্বরে উটাহ মরুভূমির ওপর দিয়ে একটি হেলিকপ্টারে করে উড়ে যাওয়ার সময় সেটির পাইলট একটি ধাতবদণ্ড দেখতে পান। কাছাকাছি সময়ে রোমানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া এবং ইংলিশ চ্যানেলের দ্বীপ ‘দ্য আইল অব উইটে’ একই রকম ধাতবদণ্ড দেখতে পাওয়া যায়।

সে সময়ে কে বা কারা এমন ধাতবখণ্ডের পেছনে থাকতে পারে, তা নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছিল। এমনকি এটাও ভাবা হচ্ছিল, সেগুলো কোনো শৈল্পিক স্থাপনা কি না। যদি তা–ই হয়, তবে যাঁরা এটা রাখছেন, তাঁরা কেন সামনে আসছেন না। কারণ, এখন পর্যন্ত কেউ-ই এই দাবি নিয়ে সামনে আসেননি।

নেভাডা মরুভূমিতে সর্বশেষ ধাতবদণ্ডটি পাওয়ার আগে গত মার্চে ওয়েলসের একটি পাহাড়ের চূড়ায় একই রকম ধাতবদণ্ড দেখতে পাওয়া যায়।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওই সব ধাতবদণ্ডের আকার খুবই নিখুঁত এবং নিখুঁতভাবে সেটি রাখা হয়েছে। তবে কে বা কারা সেটি রেখেছেন, সে বিষয়ে কোনো আভাস তাঁরা দিতে পারেননি।