গত সপ্তাহে ১০ দিনের মধ্যে ট্রাম্পকে সাড়ে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার জমা করার আদেশ দেন নিউইয়র্কের আপিল আদালত।
সম্পদ বাজেয়াপ্তের মতো প্রক্রিয়া থেকে রেহাই পেতে নিউইয়র্কে সম্পদ জালিয়াতি মামলায় সাড়ে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার বন্ড জমা দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে দেওয়া নথির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার তিনি এ অর্থ জমা দেন। এখন তাঁর এ মামলায় তিনি আপিল প্রক্রিয়ার দিকে এগোতে পারবেন।
২০২২ সালে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেমোক্র্যাট লেটিটিয়া জেমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলাটি করেছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বহুদিন ধরেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ অতিরঞ্জিত করে সর্বসমক্ষে পেশ করছেন। যার ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ঋণ পেতে তাঁর অনেক সুবিধা হয়েছে। এমনকি ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের দাতাদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চাওয়ার সময়ও নিজের সম্পত্তির সম্বন্ধে ভুল তথ্য পেশ করেছিলেন তিনি—এই মর্মে নিউইয়র্কের একটি আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই মামলার রায়ে বিচারপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেছিলেন। কিন্তু তিনি অর্থ পরিশোধ না করায় জরিমানার অর্থমূল্য সুদসহ দাঁড়ায় ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারে। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থের বন্ড জোগাড় করতে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছিল টিম ট্রাম্পের।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের আপিল বিভাগ কিছুটা স্বস্তি দেন ট্রাম্পকে। প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের মধ্যে ট্রাম্পকে সাড়ে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার জমা করার আদেশ দেন আপিল আদালত। কিন্তু আদালতের দেওয়া আদেশ পালন না করলে নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নিতে বাধ্য হতো। ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে করা এ মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
আপিল বিভাগের আদেশের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আপিল বিভাগের আদেশকে আমি সম্মান জানায়। আমি সাড়ে ১৭ কোটি ডলার নগদ বা বন্ড বা কোনোভাবে দ্রুত জমা দেব। ১০ দিনের মধ্যেই তা জমা দেওয়া হবে।’
গতকাল আদালতে জমা দেওয়া নথিতে দেখা গেছে, ট্রাম্পের পক্ষে বন্ড জমা দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার নাইট স্পেশালিটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানি নামে একটি বিমাপ্রতিষ্ঠান।