ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্পের ঘুষের মামলার সাজা ঘোষণা পেছাতে রাজি কৌঁসুলিরা

নিউইয়র্কে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলার সাজা ঘোষণা পিছিয়ে দিতে সম্মত হয়েছেন নিউইয়র্কের কৌঁসুলিরা। ম্যানহাটানের জেলা অ্যাটর্নির অফিস মঙ্গলবার বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা স্থগিতের বিষয়ে তারা সম্মত হবেন। এতে  নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এ মামলা খারিজ করার জন্য যে আবেদন করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করতে কৌঁসুলিরা সময় পাবেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাজা ঘোষণা বাতিলের আরজি শুনে এ মামলার সাজা বাতিল করবেন কি না, নিউইয়র্কের বিচারক তা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বিচারক হুয়ান মারচানের কাছে লেখা চিঠিতে জেলা অ্যাটর্নির অফিস স্বীকার করেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চার বছরের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সাজা স্থগিত রাখা যেতে পারে। তবে ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি রেখে দেওয়া উচিত।

জেলা অ্যাটর্নির অফিসের একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, এ মামলায় চার বছরের বিরতি দিতে রাজি হবে তারা।

আদালতে ট্রাম্পের মামলার বর্তমান অবস্থাকে তাঁর আইনি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব ঘুরে দাঁড়ানোর ঘটনা মনে করা হচ্ছে। এক বছর আগে  ট্রাম্প চারটি পৃথক অভিযোগের মুখোমুখি হন। কিন্তু এখন ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের আবার ফিরছেন। ট্রাম্পের আইনজীবীরা তাঁর মামলাগুলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার যে কাজ করেছিলেন, তা ব্যাপক সফল হয়েছে। এর মধ্যে ফেডারেল আদালতের দুটি মামলা থেকে বের হতে পারবেন ট্রাম্প। জর্জিয়ার আদালতের মামলাটি স্থগিত হয়ে গেছে এবং নিউইয়র্কের মামলাটিও সাজা ঘোষণা ছাড়াই শেষ হতে পারে।

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন নিউইয়র্কের আদালত। নিউইয়র্কের আদালতে এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাঁর সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প। ব্যবসায়িক তথ্য নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়। ট্রাম্প এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন।

২৬ নভেম্বর ওই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আদালত ওই সাজা ঘোষণা করবেন কি না, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন থেকে গেছে। ট্রাম্পের আইনি দল চেষ্টা করছে, আদালত যেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করতে না পারেন। বিচারক হুয়ান মারচান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর পর্যন্ত ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার বিষয়টি স্থগিত করেছিলেন।

মারচানকে দেওয়া চিঠিতে ম্যানহাটান জেলা অ্যাটর্নি যুক্তি দিয়েছেন, ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি বিচারক যেন বাতিল না করেন। ম্যানহাটান জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ বলেছেন, তাঁর কার্যালয় ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তবে তিনি আরও বলেছেন, সাজা স্থগিতের বিষয়ে কৌঁসুলিরা রাজি হবেন।

ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এক বিবৃতিতে বলেছেন, কৌঁসুলিদের নথি ফাইলিং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি সম্পূর্ণ ও নিশ্চিত বিজয়।