যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের এক নারীর বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে দেখা গেছে, তিনি মাত্রাতিরিক্ত ব্যথার ওষুধ দিয়ে স্বামীকে হত্যা করেছেন। প্রকাশ্যে এসেছে অবাক করে দেওয়ার মতো আরও তথ্য। স্বামীকে হত্যার পর ওই নারী ইন্টারনেটে ‘বিলাসবহুল কারাগারের’ খোঁজ করেছিলেন।
শুধু বিলাসবহুল কারাগার নয়, আরও নানা বিষয়ে ইন্টারনেটে খোঁজখবর নিয়েছিলেন কোউরি রিচিনস নামের ওই নারী। এর মধ্যে রয়েছে তিনি কোনো বার্তা মুছে ফেললে পরে তদন্তকারীরা তা দেখতে পাবেন কি না, জীবনবিমা প্রতিষ্ঠানগুলো বিমার অর্থ দিতে কত সময় নেয়, কেউ মিথ্যা বলছেন কি না, তা শনাক্ত করতে পুলিশ পরীক্ষা চালাতে পারে কি না—এমন সব প্রশ্ন।
ইন্টারনেটে এ খোঁজখবর নিয়ে অবশ্য কোউরির আইনজীবীদের ভাষ্য, এর মাধ্যমে আসলে তিনি স্বামীর মৃত্যুতে করা মামলা নিয়ে গবেষণা করতে চাইছিলেন। দেখতে চেয়েছিলেন, কীভাবে মামলার তথ্যপ্রমাণগুলো সংগ্রহ করা হয়। এর সঙ্গে কোউরির হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার কোনো সংযোগ নেই।
কোউরি রিচিনসের স্বামীর নাম এরিক রিচিনস। গত বছরের মার্চে তাঁকে হত্যা করা হয়। একদিন গভীর রাতে বাসায় পুলিশ ডেকে কোউরি জানান, স্বামীকে মদ পান করতে দিয়েছিলেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা পর অচেতন হয়ে পড়েন এরিক। ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, মদ্যপান নয়, শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ব্যথার ওষুধ ব্যবহারের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক ব্যক্তির কাছে ব্যথার ওষুধ চেয়েছিলেন কোউরি। পরে ওই ওষুধ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁর কাছে আরও শক্তিশালী ব্যথার ওষুধ চান তিনি। সেই ওষুধই স্বামীকে খাইয়েছিলেন কোউরি।