আস্থা ভোটে জিতে আপাতত সরকার টিকিয়ে রাখলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর সংখ্যালঘু সরকারের বিরোধিতায় গত বুধবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এটা ছিল ট্রুডোর লিবারেল সরকারের প্রথম বড় পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় পাস করেছে তাঁর সরকার। গত ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সাম্প্রতিককালে জাস্টিন ট্রুডো সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে। এরই জেরে এই অনাস্থা ভোট।
তবে ট্রুডোর সমস্যা এখানেই শেষ হচ্ছে না। তাঁর বিরোধী কনজারভেটিভরা সরকারকে আরও বড় পরীক্ষায় ফেলতে চয়। তাদের হুঁশিয়ারি, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
আস্থা ভোটপর্ব চলার সময় পার্লামেন্টের ভেতরে ব্যাপক তর্কবিতর্ক হয়। পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা আক্রমণাত্মক মন্তব্য দেন। তবে ট্রুডো সরকারের ওপর অনাস্থার যে প্রস্তাব কনজারভেটিভরা এনেছিল, তার বিরুদ্ধে মোট ২১১টি ভোট পড়ে। পক্ষে ভোট পড়ে ১২০টি।
কানাডায় নির্বাচন হতে এখনো অনেক বাকি। কিন্তু টোরি নেতা পিয়েরে পোইলিভরে এর আগেই নির্বাচন করাতে চাইছেন। কারণ, এই মুহূর্তে ট্রুডো সরকারের অবস্থা বেশ টলোমলো। এই পরিস্থিতির জন্য বামপন্থী নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টিকেই (এনডিপি) দায়ী করা হচ্ছে। কারণ, এত দিন তাদের সঙ্গে সরকারপক্ষের জোট ছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকে সেই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আসে এনডিপি। তার পর থেকেই বর্তমান সরকার ফেলে দিতে মরিয়া কনজারভেটিভরা।
ট্রুডোর বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহী পিয়েরে পোইলিভরে বলেছেন, বর্তমান সরকার জীবনযাত্রার খরচ, আবাসন সমস্যা এবং অপরাধের সংখ্যা কমাতে পারেনি। এই সময়ের মধ্যে জাতীয় ঋণের পরিমাণও দ্বিগুণ হয়েছে।
মঙ্গলবার আয়োজিত বিতর্কসভায় কানাডার বিরোধী নেতা বলেন, লিবারেল সরকার ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পর কানাডাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও পিয়েরে পোইলিভরে বর্তমান সরকার ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার কারণ, অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তাঁকে সমর্থন করতে ভরসা পাচ্ছে না।
বুধবারের ভোটাভুটির পর লিবারেলরাও কনজারভেটিভদের সমালোচনা করতে ছাড়েনি। লিবারেলদের নেত্রী করিনা গৌল বলেন, ‘টোরিরা গেম খেলছে। এবার আমরা উঠব। এই দেশের স্বার্থে আমাদের হাতে অনেক কাজ রয়েছে। আমরা সেগুলো আবার শুরু করব।’