যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ‘জ্ঞানগর্ভ’ বক্তব্য দিচ্ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কথার তুবড়িতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একহাত নিচ্ছিলেন। সে সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করেছিলেন কেউ। গতকাল বুধবার সেই ভিডিও ফাঁস হয়েছে।
ভিডিওটি প্রথম যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি বিস্টের হাতে আসে। তাতে দেখা যায়, একটি গলফ কার্টে চালকের আসনে বসে আছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। হাতে এক কাঁড়ি ডলার। পাশে বসা ছেলে ব্যারন ট্রাম্প। দেখেই বোঝা যায়, বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন তিনি।
এ সময় পাশে থাকা লোকজনের উদ্দেশে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘সে রাতে (বাইডেনের সঙ্গে) বিতর্কে আমি কেমন করেছি?’ এরপরই নির্বাচন থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর আশার কথা শোনান। বিতর্কের পর বাইডেন ভেঙে পড়েছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (নির্বাচন থেকে) সরে দাঁড়াবেন। আমি তাঁকে (ভোটের মাঠ) থেকে ছিটকে দিয়েছি।’
বাইডেনকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীর পর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রসঙ্গ টানেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘(বাইডেন সরে যাওয়ার) অর্থ নির্বাচনে কমলা আসবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি তুলনামূলক ভালো বলে আমার মনে হয়।’ পরক্ষণেই আবার কমলাকে গালি দিয়ে বলতে শুরু করেন—‘তিনি খুবই খারাপ। খুব দুর্বলও।’
ভিডিওতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সামলাতে বাইডেনের সক্ষমতা নিয়েও তু্চ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ভাবতে পারেন, এই লোকটা (বাইডেন) পুতিনকে সামলাবেন? চীনের প্রেসিডেন্টের কথাও ভাবুন। তিনি (সি চিন পিং) একজন ভয়ংকর মানুষ। তিনি খুবই কঠোর প্রকৃতির।’
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে খুব একটা ভালো করতে পারেননি তিনি। এর পর থেকে ৮১ বছর বয়সী বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকে। তাঁর বিকল্প হিসেবে কমলা হ্যারিসের কথাও তুলছেন কেউ কেউ। তবে বাইডেন যে সরে দাঁড়াচ্ছেন না, তা নিশ্চিত করেছে তাঁর নির্বাচনী প্রচার দল।
এদিকে ট্রাম্পের ভিডিও ফাঁসের পর এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি তাঁর প্রচারশিবির। অন্যদিকে বাইডেন শিবির এক বিবৃতিতে বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দিন দিন নিচে নামছেন, তা এরই মধ্যে দেখেছে আমেরিকার লোকজন। এই ভিডিওর মধ্য দিয়ে তিনি ‘একেবারে নিচে নেমেছেন’।