ইউক্রেনের পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানো শেখাবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির টেলিফোন আলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে করমর্দন করছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান

ইউক্রেনের বৈমানিকদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে টেলিফোনে আলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাঁদের মধ্যে এই টেলিফোন আলাপ হয়।

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার আলোচনায় ইউক্রেনের বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করার বিষয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে আশ্বাস দিয়েছিল, তা নিয়েও কথা বলেছেন তাঁরা।

এদিকে বৃহস্পতিবারই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইউক্রেনের বৈমানিকদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের বৈমানিকেরা যাতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারেন, সেভাবে তাঁদের সক্ষম করে তোলা হবে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার বলেন, ইউক্রেনের কয়েকজন বৈমানিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণে আরও কয়েকজন সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের মরিস এয়ার ন্যাশনাল গার্ড ঘাঁটিতে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। তখন থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে কিয়েভ। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়ে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলা

রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ক্রিমিয়া উপত্যকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছে ইউক্রেন। গত বৃহস্পতিবার রাতভর ৪২টি ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া মস্কো সীমান্তবর্তী কালুগা অঞ্চলে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করারও দাবি করেছে রাশিয়া।

কিয়েভে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গতকাল কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। রাশিয়ার সঙ্গে করা কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি এ সফর করছেন।