সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি চলতি বছরের ছয় মাসে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের মামলার পেছনে চার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রাথমিক বাছাইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার এই ব্যয়ের আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার কথা।
ট্রাম্পের আইনি লড়াই যত তীব্র হচ্ছে, এই খাতে ব্যয়ও সেভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। রাষ্ট্রের গোপন নথিপত্রের অব্যবস্থাপনার মামলা শিগগিরই শুরু হতে পারে। এ ছাড়া নিউইয়র্কের আদালতে পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার পর সেই বিষয়টি আর্থিক বিবরণীতে গোপন রাখার অভিযোগে এবং লেখক ই জিন ক্যারলের অবমাননার মামলাও রয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম ছয় মাসেই ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ে চার কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের আরেক খবরে বলা হয়েছে, সেভ আমেরিকা পিএসি ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে দেওয়া ছয় কোটি মার্কিন ডলার ফেরত চেয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্পের শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এই বিষয়ে জানেন এমন একজন ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, পিএসির দেওয়া অর্থ আইনি লড়াইয়ে ব্যয়ের বিষয়টি সরকারি কৌঁসুলিরা খতিয়ে দেখছেন। এতে ট্রাম্প ও প্রত্যক্ষদর্শীর সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্বও যাচাই করা হচ্ছে।
ট্রাম্প রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর গোপন নথি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ফ্লোরিডার আদালতে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেভ আমেরিকা পিএসি থেকে চলতি বছর ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ে দেদার অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এখন তারা ছয় কোটি ডলার তহবিল ফেরত চাচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে সংকটে পড়তে পারেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারশিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আইনজীবীদের পেছনে সার্বিক ব্যয়ের বিষয়ে তিনি কেবল কথা বলেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে নিরীহ মার্কিনদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেননা, তাঁরা ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করছেন। তাঁরা জানেন, তাঁদের কোনো মামলার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।