২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীর তালিকায় নাম লেখালেন মাইক পেন্স। তিনি দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।
গতকাল সোমবার পেন্স নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এদিন পেন্সের প্রচার শিবির যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে তাঁর প্রার্থিতার কাগজপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করে।
৬৩ বছর বয়সী পেন্স আগামীকাল বুধবার একটি ভিডিওর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। একই দিন তিনি আইওয়া অঙ্গরাজ্যে একটি নির্বাচনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভাষণ দেবেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানে, এমন তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
রিপাবলিকান দলীয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন পেন্স। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন ট্রাম্প। তবে তিনি এই পরাজয় এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি।
রিপাবলিকান দল থেকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি গত বছরের নভেম্বরে এই ঘোষণা দেন। ফলে দলীয় প্রার্থিতার দৌড়ে ট্রাম্পের সঙ্গে পেন্সের লড়াই হবে।
ট্রাম্পের মেয়াদের প্রায় পুরোটা সময় তাঁর অনুগত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাশে ছিলেন পেন্স। কিন্তু ট্রাম্প যখন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের জয়ের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তখন প্রেসিডেন্টকে (ট্রাম্প) সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানান পেন্স।
পেন্স কট্টর সামাজিক রক্ষণশীল রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত। তিনি ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ছিলেন।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের সত্যায়ন ঠেকাতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল হিল) ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা সহিংস হামলা চালান। সে সময় কংগ্রেস ভবনে পেন্স ও তাঁর পরিবার ছিল। বিশেষ করে এই ঘটনার পর থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে পেন্স ক্রমেই তাঁর দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন।
রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার জন্য আরও কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি, সিনেটর টিম স্কট। এই লড়াইয়ে আরও মুখ দেখা যেতে পারে।