মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি কাউন্টিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার কাউন্টির ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ এ কথা জানিয়েছে। এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম কোনো মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেল। খবর সিএনএনের।
কাউন্টির স্বাস্থ্য বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা খুবই দুর্বল ছিল। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্টির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না।
এতে বলা হয়, মাঙ্কিপক্স হয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা খুবই দুর্বল, শুরুর দিকেই তাঁদের প্রাথমিক সেবা ও চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থতার সময় চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক উইলিয়াম শ্যাফনার ই–মেইলে সিএনএনকে বলেন, ভাইরাসটি শরীরে ঢুকে পড়ার পর লোকটির দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। অনিয়ন্ত্রিতভাবে সেটি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সম্ভবত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এটি ছড়িয়ে গেলে এবং সেগুলোর কার্যক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেললে, তা আর ঠিকমতো কাজ করেনি।
মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর ঘটনা খুবই বিরল। এটি সাধারণত শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতার লোকজনকে প্রায়ই সংক্রমিত করে। যেমনটা এইচআইভি (এইডস) করে থাকে।
গত মাসে টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। তবে তাঁর মৃত্যু মাঙ্কিপক্সের কারণে হয়েছে কি না, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর গতকাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য ও নিশ্চিত ২২ হাজার মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৩০০ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে।
মার্কিন সংস্থাটির দেওয়া তথ্য মতে, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৫৮ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে এই ১৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়নি।