যাত্রীবাহী ফ্লাইটের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দুই দেশ এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রয়টার্সকে একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগ (ইউএসডিওটি) আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত চীনা ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮টি করবে। এগুলো সাপ্তাহিক ফ্লাইট হবে। এসব ফ্লাইটে এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্যে যাওয়া যাবে এবং আবার যাত্রা শুরুর গন্তব্যে ফিরে আসা যাবে। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে সাপ্তাহিক এই ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪টি করা হবে। বর্তমানে এই ফ্লাইটের সংখ্যা ১২টি। চীনও একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
এই চুক্তিটি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সহযোগিতার বিরল দৃষ্টান্ত। করোনা মহামারির সময় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এই সমঝোতা চুক্তি হলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে।
তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত শুক্রবার ইউএসডিওটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির আগে দুই দেশের মধ্যে ১৫০ ফ্লাইটের আসা যাওয়া ছিল। মহামারির কারণে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এখন যে ২৪ ফ্লাইট চালুর কথা বলা হচ্ছে, তা এর ভগ্নাংশমাত্র।
তবে গত জুন মাসে প্রকাশিত রয়টার্সের খবরে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের বরাতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসার অনুমোদন পাওয়া চীনের উড়োজাহাজগুলো রাশিয়ার আকাশসীমায় চলাচল করবে না।