২০১৯ সালের ২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাপানের ওসাকায় জি–২০ শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন
২০১৯ সালের ২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাপানের ওসাকায় জি–২০ শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন

ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতি কী হবে

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে কম চিন্তা করবে বলে মনে করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি এমনটাই লিখেছেন বিবিসির রাশিয়া সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি মনে করেন, নতুন ট্রাম্প প্রশাসন এলে যুদ্ধের ওপর এর বড় প্রভাব পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে বলেছেন, আবার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ বন্ধ করবেন তিনি। তবে তাঁর ইউক্রেন নীতি কী হবে, সে বিষয়ে তেমন কিছু বলেননি।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় জেলেনস্কির কথা আংশিক হলেও সত্য। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে আরও প্রতিবন্ধকতা দেখা যেতে পারে। এমনটা মনে হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে বলা যায়, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি স্পষ্ট করেননি যে তিনি যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয় দেখতে চান। উল্টো ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা নিয়ে অভিযোগ করতে শোনা গেছে তাঁকে।

গত মে মাসে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে এখন নিজেদের জন্য গোলাবারুদ নেই। আমরা অনেক বেশি দিয়ে দিচ্ছি।’

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার বিরোধিতায় যাঁরা বেশি সোচ্চার তাঁরা রিপাবলিকান পার্টির ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ অংশের সদস্য। তাঁদের কথাবার্তায় মনে হয়, ট্রাম্প ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার বিপক্ষে এমন একটি ধারণা থেকে তাঁরা এসব কথা বলেন।

গত জুলাইয়ে ট্রাম্প কংগ্রেসের প্রতি ইউক্রেনকে সহায়তা স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই ও বিচার বিভাগ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবারের অনিয়মের অভিযোগ নাকচ করা না পর্যন্ত ওই সহায়তা আটকে রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।