জেলে যেতে ব্যাংক ডাকাতি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‘সুখে থাকতে ভূতে কিলায়’—এই কথা ডোনাল্ড স্যান্টাক্রোসের জন্য প্রযোজ্য কি না, সেটা তাঁর কাণ্ডকারখানা থেকেই বোঝা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের এই নাগরিক ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পাকড়াও হয়েছেন। তবে ঘটনাচক্রে পাকড়াও হয়েছেন, এমনটা নয়। ইচ্ছা করে পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছেন তিনি। খবর এনবিসি নিউজ।

ডোনাল্ড স্যান্টাক্রোসের বয়স ৬৫ বছর। তিনি ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের সল্টলেক সিটির ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে যান গত সোমবার সকালে। সেখানে গিয়ে তিনি দাবি করেন, তাঁকে ১০ লাখ মার্কিন ডলার দিতে হবে। এই দাবি সাধারণভাবে করেছেন, তা নয়। ডাকাতি করতে যা যা করা দরকার, তা–ই তিনি করেছেন। তো, তাঁর এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ওই অর্থ দিয়েছেনও। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি।

কোথাও ডাকাতির পর ডাকাত সেখান থেকে চলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ডোনাল্ড জানান, তিনি যাবেন না। এমনকি ব্যাংকের কর্মীরাও যেতে বলেছিলেন। তিনি যাননি। বরং ডোনাল্ড ওই ব্যাংকের কর্মীদের বলেন, তাঁদের উচিত পুলিশকে বিষয়টি জানানো। এই কথা বলে ডোনাল্ড বসে পড়েন ব্যাংকের লবিতে। সেখানে বসে থেকে খানিকটা বিরক্তও হয়েছিলেন তিনি। কারণ, পুলিশের আসতে দেরি হচ্ছিল।

ওই ব্যাংক ডাকাতি করতে ঢোকার পর ডোনাল্ড একটি নোট লিখেছিলেন। এতে তিনি বলেছিলেন, ‘এই ডাকাতির জন্য অনুগ্রহ করে আমাকে ক্ষমা করুন। দয়া করে আমাকে ১০ লাখ ডলার দিন। আপনাদের ধন্যবাদ।’

কেন্দ্রীয় কারাগারে যাওয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন ডোনাল্ড। তিনি এ–ও বলেছেন, তাঁকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে তিনি আবার ব্যাংক ডাকাতি করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, ব্যাংক ডাকাতির বিচার করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন কারাগারে যেতে পারবেন তিনি।