যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেন্টাকি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, আলাবামা, ফ্লোরিডা, মিজৌরি, ওকলাহোমা ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পাচ্ছেন বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।
অপর দিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী—ভারমন্ট, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া, মেরিল্যান্ড ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে জয় পাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
ইন্ডিয়ানায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ১১। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ৪টি। আর কেন্টাকিতে এই ভোটের সংখ্যা ৮। এ ছাড়া আলাবামায় ৯টি, ফ্লোরিডায় ৩০, মিজৌরিতে ১০, ওকলাহোমায় ৭ ও টেনেসিতে ১১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। ফলে পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের পক্ষে মোট ২১১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট হচ্ছে।
অপর দিকে ভারমন্টে ৩টি, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ৩, মেরিল্যান্ডে ১০ ও ম্যাসাচুসেটসে ১১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪৫টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আপাতত কমলার খাতায় উঠছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এখন তা শেষের পথে। দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এখনো ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যে ৪৩টি রিপাবলিকান ও ডোমোক্রেটিক পার্টি—দুই দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কেন্টাকি, ইন্ডিয়ানা ও ভারমন্ট এই অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে।
নির্বাচনের জয়–পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্য। সেগুলো কোনো দলের সুনির্দিষ্ট ঘাঁটি নয়। এসব অঙ্গরাজ্য হলো—নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদা। সেখানে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস রয়েছে।
এর মধ্যে মিশিগানে কমলা হ্যারিস ৫৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪২ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। এই অঙ্গরাজ্যে ৮ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় অন্তত ২৭০টি ভোট।