যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ১৯টি সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হাজার হাজার শিক্ষানবিশ কর্মীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়া ও মেরিল্যান্ডের ফেডারেল বিচারকেরা এ নির্দেশ দেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি চাকরি থেকে গণহারে কর্মী ছাঁটাই করার যে পদক্ষেপ নেন, তারই অংশ হিসেবে এই শিক্ষানবিশ কর্মীরা চাকরি হারান।
কেন্দ্রীয় সরকারের আকার তথা খরচ ও জনবল কমিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্ক এক বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। পৃথক আদালতের দেওয়া এ আদেশকে তাঁদের কর্মসূচি কার্যকর করার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত আসা সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকারি সংস্থাগুলোকে দ্বিতীয় দফায় কর্মীদের বরখাস্ত ও বাজেট কাঁটছাট করার জন্য এদিন অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আর গতকালই দুই অঙ্গরাজ্যের আদালত ওই আদেশ দিলেন।
সরকারি সংস্থাগুলোকে দ্বিতীয় দফায় কর্মীদের বরখাস্ত ও বাজেট কাঁটছাট করার জন্য এদিন অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আর গতকালই দুই অঙ্গরাজ্যের আদালত ওই আদেশ দিলেন।
আদেশদানকারী দুই বিচারকের একজন মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের জেমস ব্রেডার। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত ২০ অঙ্গরাজ্যে ১৮টি সংস্থা থেকে সম্প্রতি শিক্ষানবিশ কর্মীদের গণহারে ছাঁটাই করে আইন ভাঙা হয়েছে বলে আদেশে জানান তিনি। কর্মী ছাঁটাই ও খরচ কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া অন্যান্য সংস্থার জন্যও তাঁর আদেশ প্রযোজ্য হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিয়ে বলেছে, কর্মীদের প্রত্যেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাঁদের কর্মদক্ষতা বা অন্যান্য ব্যক্তিগত কারণে। তবে বিচারক বলেন, প্রশাসনের এই বক্তব্য সত্য নয় এবং বরখাস্ত করা শিক্ষানবীশ কর্মীদের সহায়তা করতে তাদের দায়দায়িত্ব রয়েছে।
মেরিল্যান্ডের বিচারকের এ সিদ্ধান্ত দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সান ফ্রান্সিসকোর আদালতে এক শুনানিতে আরেক বিচারক উইলিয়াম অ্যালসুপ ছয়টি সংস্থার বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন।