গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ২ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বিতাড়িত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক সপ্তাহ আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এমন তথ্য প্রকাশ করা হলো। ট্রাম্প অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়িত করার হুমকি দিয়ে আসছেন।
বিতাড়িত হওয়া ব্যক্তিদের হিসাবটি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসন মেয়াদে করা চূড়ান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন। এ সংখ্যা গত দশকের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। এমনকি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের চেয়েও এ সংখ্যা সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ (আইসিই) এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই অবৈধভাবে দক্ষিণ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, নয়তো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগের মুখে পড়েছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ১২ মাসে বিতাড়িত হওয়া মানুষদের এ হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। সময়টিতে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন। তাঁর প্রচারে অভিবাসন ইস্যুটি উল্লেখজনকভাবে গুরুত্ব পেয়েছিল।
ট্রাম্প ইতিমধ্যে বলেছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়িত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান চালাবেন তিনি।
মার্কিন নাগরিকদের চেয়ে অভিবাসীরা বেশি অপরাধ করে বলে অভিযোগ করে থাকেন ট্রাম্প। তাঁর এ ধারণা ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় বলে প্রমাণও হয়েছে।
কীভাবে এ অভিযান চালানো হবে, তা নিয়ে ট্রাম্প খুব একটা বিস্তারিত বলেননি। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বর্তমানে কর্মীদের যে হার, তাতে এ পরিকল্পনা কার্যকর করাটা ব্যয়বহুল হবে। এটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হবে না বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আইসিই-এর উপপরিচালক প্যাট্রিক লেচলেইটনার বলেন, ‘প্রতিবছর আমাদের কর্মীদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তবে প্রতিবছরই তাঁরা তাঁদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করেন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মানুষের প্রবেশের হার বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছর অভিবাসনপ্রত্যাশী–সংক্রান্ত বিধিগুলো কঠোর করার পর এ সংখ্যা কমতে দেখা যায়।
হিসাব অনুসারে, ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করে। তবে ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকদের দাবি, আদতে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি।