সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার মিশিগানে
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার মিশিগানে

হত্যাচেষ্টাকে রাজনৈতিক রূপ দিলেন ট্রাম্প

  • কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেনের ওপর দোষ চাপিয়েছেন ট্রাম্প।

  • কমলা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

  • দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে প্রচারে জোর দুজনের।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে গলফের মাঠে সম্ভাব্য হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার দুই দিন পর আবার নির্বাচনী প্রচারণায় ফিরলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার তিনি মিশিগানে প্রচার শুরু করেন। আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও তাঁর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় প্রচার চালাচ্ছেন। সেখানে তাঁর কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্ল্যাক জার্নালিস্টসকে (এনএবিজে) সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা রয়েছে।

ফ্লোরিডায় গত রোববার রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ কোর্সে একজন বন্দুকধারীর সন্ধান পাওয়ার পর সিক্রেট সার্ভিস তাঁকে সরিয়ে নেয়। ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, এ ঘটনায় বন্দুকধারী একাই ছিলেন।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর ওপর হামলার চেষ্টার জন্য কমলা হ্যারিস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর দোষ চাপিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, কমলা ও বাইডেন তাঁকে গণতন্ত্রের শত্রু বলে বক্তব্য দিয়েছেন। ঘটনাকে ট্রাম্প রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি নির্বাচনী প্রচারে কমলাকে নানাভাবে আক্রমণ চালিয়েছেন। তিনি কমলাকে ‘শয়তান’ বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবেন কমলা।

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে বাইডেন ও কমলা উভয়েই মন্তব্য করেছেন। কমলা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি যখন যুক্তরাষ্ট্রকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, তখন বাইডেন ও কমলার বক্তব্যে তাঁর প্রতি গুলি চালানো হচ্ছে।

ট্রাম্পের দাবি, ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদের ‘অত্যন্ত উসকানিমূলক ভাষা’ ব্যবহারের কারণে ওই সন্দেহভাজন বন্দুকধারী হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। যদিও এ হামলাচেষ্টার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে ছয়টির বেশি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে জেতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বেশি। এ লক্ষ্যে ট্রাম্প ও কমলা এসব অঙ্গরাজ্যে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি সাফোক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, পেনসিলভানিয়ায় নারী ভোটারদের সমর্থনের কারণে সেখানে কমলা ট্রাম্পের চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। এখানে কমলার সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর ট্রাম্পের ৪৬ শতাংশ।

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বেশ কিছু তিক্ত ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে ট্রাম্পকে দুবার হত্যাচেষ্টা ছাড়াও ওহাইওতে বোমা হামলার হুমকির ঘটনাও ঘটেছে। এর আগে গত জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্পকে গুলি করা হয়। এতে তিনি সামান্য আহত হন।