যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর সপ্তাহ দুয়েক বাকি। এর আগে গতকাল রোববার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস দুটি গির্জায় গিয়েছিলেন। আর তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প গিয়েছিলেন ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ চেইন ম্যাকডোনাল্ডসে। এটি মার্কিনদের কাছে একধরনের উপাসনালয়ের মতো। যেখানে তারা নিয়ম করে যায়।
কমলা কলেজে পড়ার সময় ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করেছেন। এ তথ্য তিনি নিজেই জানিয়েছেন। যদিও ট্রাম্পের মতে, কমলার এ কথা মিথ্যা। তাই কমলার জন্মদিনে ম্যাকডোনাল্ডসে ট্রাম্পের যাওয়াটা সংবাদমাধ্যমের নজর কেড়েছে। সেখানে তিনি কমলার বিরুদ্ধে আবারও মিথ্যা বলার অভিযোগ তোলেন।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের মন জয় করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কমলা-ট্রাম্প। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা জর্জিয়ার আগাম ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেনসিলভানিয়ায় ভোটের প্রচার করেছেন।
জর্জিয়ার স্টোনক্রিস্টে নিউ বার্থ মিশনারি ব্যাপ্টিস্ট চার্চে উপস্থিত মানুষের সামনে কমলা বলেন, ‘এ সময়ে আমাদের দেশজুড়ে দেখতে পাচ্ছি যে কিছু মানুষ আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা, ঘৃণা ছড়ানো, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আর ভয়ের বীজ বপন করার চেষ্টা করছে।’ এ সময় তিনি ‘আরও সহানুভূতিশীল ভবিষ্যতের’ জন্য ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে ফিলাডেলফিয়ায় ম্যাকডোনাল্ডসের একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে ট্রাম্প পরনের স্যুট খুলে ফেলেন। কালো-হলুদ অ্যাপ্রোন পরে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজেন। শুধু তা–ই নয়, ওই রেস্তোরাঁর জানালা দিয়ে মুখ গলিয়ে তাঁর সমর্থকদের হাতে ওই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তুলে দেন ট্রাম্প। এ সময় রাস্তার উল্টা পাশে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে এ দৃশ্য দেখেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ কাজটি খুব পছন্দ করছি। আমি এখানে খুব মজা করেছি।’
ট্রাম্প জানান, নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগে কমলার প্রচারে ঝাঁকুনি দেওয়ার জন্য ম্যাকডোনাল্ডসে এসেছেন তিনি। এর আগে কমলা বলেছিলেন, ছাত্রজীবনে ক্যালিফোর্নিয়ায় ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করেছিলেন তিনি। তবে ট্রাম্প এমন দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাননি তিনি।