নিকি হ্যালি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
নিকি হ্যালি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্প এগিয়ে, নিকি হ্যালির ‘শেষ সুযোগ’

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি। আগামী মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটকে হ্যালির জন্য ‘শেষ সুযোগ’ মনে করা হচ্ছে।

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রার্থী কে হবেন, তা বাছাই করছেন দলটির সদস্যরা। বাছাইপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আইওয়া থেকে। সেখানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার দ্বিতীয় অঙ্গরাজ্য হিসেবে নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারি হবে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারি সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন ট্রাম্প ও হ্যালি। দুজনই একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন

বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইওয়ায় বড় জয়ের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রমাণ করেছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই রিপাবলিকানদের প্রার্থী হওয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিজের আধিপত্যও ধরে রেখেছেন ট্রাম্প। এদিকে হ্যালির জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে চমকে দেওয়ার মতো কোনো ফল না পেলে হ্যালির প্রার্থী হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি অনিশ্চয়তা আরও জোরালো হবে।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি। আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে ট্রাম্প ও হ্যালি ছাড়াও রয়েছেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডি স্যান্টিস। তবে দুজনই ট্রাম্পের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন। আইওয়ায় ট্রাম্প একাই যত ভোট পেয়েছিলেন, হ্যালি ও ডি স্যান্টিস মিলেও তত ভোট পাননি।

নিউ হ্যাম্পশায়ারেও জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ট্রাম্প। রাজ্যটিতে এক নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, আমিই একমাত্র প্রার্থী যে আমেরিকাকে বাঁচাতে পারেন এবং আমরাই বাইডেনের ডেকে আনা বিপর্যয় থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করব।’

ট্রাম্পের বয়স-মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন

সাম্প্রতিক সময়ে হ্যালিও ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। রিপাবলিকানদের কেউ কেউ ও নিরপেক্ষ ভোটাররা বলছেন, প্রচারণায় ট্রাম্পের আরও সমালোচনা করতে হবে হ্যালিকে। কার‍ণ, এত দিন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের তেমন কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং-উনের প্রতি ‘অনুরাগ’ নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন হ্যালি। এ ছাড়া ৭৭ বছর বয়সে আবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো সামর্থ্য ট্রাম্পের আছে কি না ও উল্টাপাল্টা কথা বলায় তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও নিকি হ্যালি প্রশ্ন তুলেছেন।