যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গতকাল শুক্রবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ওবামার। সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে জর্জিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেন তিনি। এ সময় নির্বাচনে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ক্ষমতায় বসা ঠেকাতে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ওবামা।
জর্জিয়ার আটলান্টা শহরতলিতে এই জনসমাবেশে জোর গলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘শুধু ডেমোক্র্যাট সদস্যদের নির্বাচিত করলেই হবে না; আমাদের ভালো মানুষকে নির্বাচিত করতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে দেখা যাবে, এমন সব মানুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যাঁরা একসময় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। আর তাঁরা যদি জয় পান, তাহলে ভবিষ্যতে কী ঘটবে, তা আমার জানা নেই।’
২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। এর পর থেকে তিনি নিজেকে অনেকটা আড়াল করে ফেলেন। জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটদের প্রচারণা অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আগামী মাসের নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
জর্জিয়ার বর্তমান সিনেটর ডেমোক্র্যাট সদস্য রাফায়েল ওয়ারনক পদ ধরে রাখতে লড়ছেন রিপাবলিকান সদস্য হার্শেল ওয়াকারের বিরুদ্ধে। অঙ্গরাজ্যটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সিনেটর ওয়ারনক। আর সাবেক ফুটবল তারকা ওয়াকারের পেছনে সমর্থন রয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই দুজনের জয়-পরাজয়ের ওপর নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কোন দলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ হারালে বাধার মুখে পড়তে পারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
জর্জিয়ার পরবর্তী গভর্নর কে হচ্ছেন, তা নিয়েও তুমুল লড়াই হতে পারে। এই লড়াইয়ে রিপাবলিকান পার্টির ব্রায়ান কেম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট সদস্য স্টেসি আব্রামস।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের দুই কক্ষ কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা নির্ধারণ করতে ইতিমধ্যে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন মার্কিনরা। দেশজুড়ে গভর্নর নির্বাচনের ভোটাভুটিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আরও কয়েক শ পদে কারা ক্ষমতায় আসছেন, তা জানা যাবে আগামী ৮ তারিখ।