যুক্তরাষ্ট্র ও চীন
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে থাইল্যান্ডে সাক্ষাৎ করবেন। দুই দেশের মধ্যে কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা চলছে। দুই পক্ষই সম্পর্কোন্নয়নের পথ খুঁজছে।

বেইজিং ও ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক কয়েক বছরে প্রযুক্তি, বাণিজ্য, মানবাধিকার ইস্যুতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুই পক্ষই ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান।

বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হওয়ায় ব্যাংককে ওয়াং ই নতুন দফায় বৈঠক করবেন সুলিভানের সঙ্গে। আগামী সোমবার পর্যন্ত ওয়াং থাইল্যান্ডে থাকবেন।

হোয়াইট হাউস বলেছে, কৌশলগত যোগাযোগ ও দায়িত্বশীল সম্পর্ক বজায় রাখতে চান বাইডেন ও সি। গত বছরের নভেম্বরে দুই পক্ষের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ মাসে বেইজিংয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ওয়াং বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও গত বছর সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়েছে।

তবে তাইওয়ান ইস্যুতে দুই পক্ষের সম্পর্ক আবার উত্তপ্ত হয়। তাইওয়ানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তেকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের একটি দল এ সপ্তাহে স্বাগত জানায়। দলটি তাইওয়ান সফরে যায় এবং গণতন্ত্রের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের কথা জানায়।

তবে চীনা কর্মকর্তারা লাইকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর লাইকে অভিনন্দন জানানোয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নিন্দাও জানান চীনা কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রকে উসকানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় চীন।