তিন বছর বয়সী শিশুর গুলিতে প্রাণ গেল ৪ বছর বয়সী বোনের

বন্দুক
প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে হিউস্টনের কাছে তিন বছরের এক মেয়ে দুর্ঘটনাবশত তার চার বছরের বোনকে গুলি করেছে। এতে ওই বোন মারা গেছে। গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, গুলি ছোড়ার সময় ওই ঘরে তাদের মা-বাবাসহ পাঁচজন ছিলেন।
টেক্সাসের কাউন্টি শেরিফ এড গনজালেজ বলেন, আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তলটি হাতের নাগালে পেয়েছিল তিন বছরের ওই শিশু। হঠাৎই তার পরিবারের সদস্যরা গুলির শব্দ শোনেন। এরপর তাঁরা শোবার ঘরে গিয়ে দেখেন, চার বছরের শিশুটি মেঝেতে অসাড় অবস্থায় পড়ে আছে।

গনজালেজ বলেন, গুলির ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ছিল। তিনি আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র হাতের নাগালে আসা ও অন্যকে আঘাত করার অন্য দুর্ঘটনার মতোই এটি আরেকটি দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ বাড়িতে বন্দুক রয়েছে। বেশির ভাগ বাড়িতেই শিশু রয়েছে।

জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ বলেছে, তবে এসবের অর্ধেকের কম বাড়িতে বন্দুক রাখার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে গুলির ঘটনায় ৪৪ হাজারের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ১৮ বছরের কম বয়সীদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ বলছে, এ ধরনের ১ হাজার ৭০০ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩১৪টি ঘটনায় ১১ বছরের কম বয়সী শিশু নিহত হয়েছে।

টেক্সাসের বাসিন্দা তিন কোটি। সেখানে বন্দুক খুবই সহজলভ্য। কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়াই জনসমক্ষে বন্দুক নিয়ে চলতে পারে মানুষ।

গনজালেজ বলেন, ‘বন্দুক থাকলে সেটি নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। শিশুদেরও বন্দুক ধরতে নিষেধ করতে হবে।’ এ ধরনের সতর্কতা থাকলে গোলাগুলির ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।