যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে পাতালট্রেনে এক নারীর গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সকালে এ ঘটনায় ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ওই নারী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার শিকার নারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ বলেছে, গতকাল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই নারী ব্রুকলিনের কনি আইল্যান্ড-স্টিলওয়েল অ্যাভিনিউ সাবওয়ে স্টেশনে একটি ট্রেনের ভেতরে স্থির হয়ে বসে ছিলেন। একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শান্তভাবে তাঁর কাছে এসে লাইটার দিয়ে ওই নারীর পরনের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগে দুজনের মধ্যে কোনো ধরনের বাগ্বিতণ্ডা হতে দেখা যায়নি। এই দুই নারী-পুরুষ আগে থেকে একে অপরকে চিনতেন বলেও মনে করছে না পুলিশ।
স্টেশনে টহলে থাকা পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যান। আর ওই ব্যক্তি ট্রেন থেকে নেমে পড়েন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী তাঁর মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, যেখানটায় ওই নারী পুড়ছিলেন, তার থেকে কয়েক কদম দূরে প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চের ওপরে এক ব্যক্তি বসে আছেন। তাঁর পরনে ধূসর রঙের একটি হুডি। গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির পরনেও একই পোশাক দেখা গেছে।
বেঞ্চে বসে থাকা ওই ব্যক্তিই হামলাকারী কি না, তা নিয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে পুলিশ বলেছে, ঘটনার সময় ওই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে করার কোনো কারণ ছিল না। পুলিশ তখন ওই নারীকে সহায়তার জন্যই ছোটাছুটি করছিল।
পুলিশ বলছে, কর্মকর্তারা অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। জরুরিসেবা কর্মীরা ঘটনাস্থলেই ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ইতিমধ্যে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল ঘটনাটির পরে পাতালট্রেন থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, তারা এখনো ঘটনার শিকার ওই নারীর পরিচয় এবং হামলার কারণ জানতে তদন্ত করছে।
পুলিশের হিসাব অনুসারে, সপ্তাহের প্রতি কর্মদিবসে পাতালট্রেনে প্রায় ৪০ লাখ ভ্রমণ হয়ে থাকে। সেখানে সহিংস অপরাধের ঘটনা অপেক্ষাকৃত বিরল। ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ পাতালট্রেনে ৯টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আর ২০২৩ সালের একই সময়ে পাঁচটি হত্যাকাণ্ড হয়।