চীনের ‘নজরদারি’ বেলুনের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের

চীনের ‘নজরদারি’ বেলুনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ছবি: মার্কিন নৌবাহিনী

সন্দেহভাজন চীনা ‘নজরদারি’ বেলুনের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন নৌবাহিনী।

গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় বেলুনটি ধ্বংস করা হয়। যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংসের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়ে। বেলুনটি ভূপাতিত করার পর তার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করে মার্কিন নৌবাহিনী।

এখন পর্যন্ত বেলুনটির যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে, তার একাধিক ছবি মার্কিন নৌবাহিনী গতকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ করে।

প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, বেলুনটির একটি বড় ধ্বংসাবশেষ একটি নৌযানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেলুনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারকারী দলে মার্কিন নৌবাহিনীর বিস্ফোরক–বিশেষজ্ঞরা আছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখা হবে। বেলুনটিতে গুপ্তচরবৃত্তির কোনো সরঞ্জাম ছিল কি না, তা তাঁরা যাচাই করে দেখবেন।

মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্য, বেলুনটি প্রায় ২০০ ফুট (৬০ মিটার) লম্বা ছিল। বেলুনটির ওজন কয়েক শ বা কয়েক হাজার পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। একটি আঞ্চলিক উড়োজাহাজ রাখার মতো জায়গা ছিল বেলুনে।

বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করছিল বলে সন্দেহ ওয়াশিংটনের। তবে বেইজিংয়ের দাবি, বেলুনটি তারা বেসামরিক কাজে ব্যবহার করছিল। দুর্ঘটনাক্রমে বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে।

গতকাল মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, বেলুনটি ধ্বংসের পর উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে একটি ফোনালাপের আয়োজন করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় সাত মাইল এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ পাঠানো হয়। একটি জাহাজে রয়েছে ভারী ক্রেন।

তবে মার্কিন নৌবাহিনীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্র থেকে বেলুনের ধ্বংসাবশেষ হাত দিয়ে টেনে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

অনুসন্ধান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আটলান্টিক মহাসাগরে মানববিহীন ডুবো যানবাহনও মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বেলুন–কাণ্ডের জেরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চীন সফর বাতিল করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কে