ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ৩ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা

দিন গড়ানোর সঙ্গে আরও এগিয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। এবার ভোটের লড়াইয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ তিনটি অঙ্গরাজ্যে জনমত জরিপে বিরোধী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। অঙ্গরাজ্যগুলো হলো উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান।

আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে ওই জরিপ চালিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজ। ৫ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়। অংশ নিয়েছিলেন ১ হাজার ৯৭৩ জন। আজ শনিবার প্রকাশিত জরিপের ফলে দেখা গেছে, ওই তিন অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। কমলা যেখানে ৫০ পয়েন্ট পেয়েছেন, সেখানে ট্রাম্পের পয়েন্ট ৪৬।

নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতা থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর এই প্রথম তিন অঙ্গরাজ্যে উচ্চপর্যায়ের জনমত জরিপ চালানো হলো। বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর আগে চালানো জরিপে রিপাবলিকান পার্টির ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প।

বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে তাঁর জায়গায় বসেন কমলা হ্যারিস। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ তিন অঙ্গরাজ্যে জনমত জরিপে তিনি ট্রাম্পকে টেক্কা দেওয়ায় সেখান অবস্থান শক্ত হলো ডেমোক্র্যাটদের। মার্কিন নির্বাচনে কোনো দলের জয়–পরাজয় অনেকটাই নির্ভর করে উইসকনসিন, পেনসিলভানিও ও মিশিগান—এই তিন অঙ্গরাজ্যে ভোটের ফলের ওপর।

মিশিগানের হল্যান্ড শহরের বাসিন্দা ৮৯ বছর বয়সী লেস ল্যাসনার। সচরাচর তিনি রিপাবলিকান পার্টিকেই ভোট দেন। তবে এবার কমলা হ্যারিসের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন। ডেমোক্র্যাটদের কিছু নীতির সঙ্গে তাঁর দ্বিমত থাকলেও ল্যাসনার বলেন, ট্রাম্পের ‘অসম্মানজনক’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচার–আচরণের জন্য তিনি এবার তাঁর পক্ষে নেই।

২০১৬ সালে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন ল্যাসনার। কমলা হ্যারিস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাঁর চারিত্রিক কিছু গুণাবলি আসলেই আমাকে আকর্ষণ করে। আমি তাঁর সব নীতির সঙ্গে একমত, তা নিশ্চিতভাবে বলছি না। তবে তাঁর বিপরীতে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি কোনোভাবেই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নন। কারণ, একটা মানুষের চরিত্রই সবকিছু।’

এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে কমলা ও ট্রাম্প শিবির। এরই অংশ হিসেবে কমলা হ্যারিস গতকাল শুক্রবার অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। আজ নেভাডার লাস ভেগাসে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ডোনাল্ড ট্রাম্পও গতকাল পশ্চিমাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। তিনি মন্টানা অঙ্গরাজ্যের বোজেমানে একটি সমাবেশ করেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মন্টানায় জয় পেয়েছেন রিপাবলিকানরা।