যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তাঁবু ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় এবং তাঁবুগুলো ভেঙে দেয়।
গতকাল ফিলাডেলফিয়া ও ক্যাম্পাস পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করা হয়েছিল। আটক না হতে চাইলে তাঁদের বিক্ষোভস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
শুরুতে কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৩৩ জন গ্রেপ্তার হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থী। তাঁদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন শিক্ষার্থী। আর বাকিদের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নিউইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাচ্ছেন, যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়।
শুক্রবার ভোর চারটার দিকে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে পুলিশ। এরপর তারা বিক্ষোভস্থলটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রায় ১৫ মিনিট সময় দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সতর্ক করার পরও সেখান থেকে না সরায় ১০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধ অভিযান চালায়। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের তাঁবু ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এপির হিসাব অনুসারে, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব করা হয়েছে।