যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বাড়িতে ঢুকে দুজন বন্দুকধারী গুলি চালালে ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন কিশোরী মা এবং তার ছয় মাস বয়সী শিশু আছে। স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় বন্দুক হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা এবং পুলিশ।
বন্দুক হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যাঞ্চলের টুলারে কাউন্টিতে। ওই কাউন্টির শেরিফ মাইক বোদেরাক্স এই হামলাকে ভয়ানক অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা পূর্বপরিকল্পিত হামলা। এ হামলার সঙ্গে কোনো অপরাধী চক্র ও মাদক চোরাকারবারীদের যোগ থাকতে পারে।
স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার ভোররাতে দুজন বন্দুকধারী ওই বাড়িতে ঢুকে একাধিকবার গুলি করেন। গুলির শব্দ শুনে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানান। এর সাত মিনিট পরেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি বাড়ির ভেতরে ও বাইরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
শেরিফ বোদেরাক্স বলেন, ‘পুরো ঘটনাটাই মর্মান্তিক। তবে মাথায় গুলিবিদ্ধি হয়ে ১৭ বছর বয়সী এক মা ও তাঁর ছয় মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু সবচেয়ে মর্মান্তিক।’
গোলাগুলির সময় বাড়ির ভেতর লুকিয়ে থাকার কারণে দুই ব্যক্তি বেঁচে গেছেন। তবে আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। শেরিফের ধারণা মাদক–সংক্রান্ত ঘটনার জেরেই এই হামলা।
শেরিফ বোদেরাক্স বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এটা সাধারণ কোনো সহিংসতার ঘটনা নয়। হামলার শিকার পরিবারকে নিশানা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে। এর পেছনে অপরাধী চক্র জড়িত বলে মনে হচ্ছে। কারণ মাদক থাকার অভিযোগে এক সপ্তাহ আগে আমার বিভাগ থেকে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল।’
এএফপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আনুমানিক ৪৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আত্মহত্যার ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের চেয়ে অস্ত্রের সংখ্যা বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক তিনজন আমেরিকানের অন্তত একজনের অস্ত্র আছে। প্রাপ্তবয়স্ক তিনজনের একজন এমন বাড়িতে থাকেন যেখানে অস্ত্র আছে।