খরুচে, নাকি সঞ্চয়ী ব্যক্তি বেশি সুখী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

প্রাচুর্যপূর্ণ জীবনযাপন নাকি মিতব্যয়িতার চর্চা, পছন্দের জিনিস দেখলেই কিনে ফেলা, নাকি শুধু প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা—এ নিয়ে বিতর্ক চিরায়ত। এ নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন ক্রেতাদের ওপর এক গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, যাঁরা খরচ করতে পছন্দ করেন, তাঁরা জীবনে নিজেদের বেশি সুখী মানুষ হিসেবে অনুভব করেন। আর যাঁরা ‘সঞ্চয়ী’, তাঁরা প্রায়ই আর্থিক প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে যুক্ত থাকেন।

নিউইয়র্ক পোস্ট-এর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার নাগরিকের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। তাঁদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ নিজেদের খরুচে বলে মনে করেন। তাঁরা যেটা চান, সেটা তাঁরা কিনতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। আর ৩৪ শতাংশ নিজেদের সঞ্চয়ী মানুষ হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করেন। তাঁরা খুব প্রয়োজন না হলে অথবা পণ্যে ছাড় না দিলে তেমন কেনাকাটা করেন না। আর ১০ শতাংশ মানুষ এই দুইয়ের কোনোটাতেই নিজেদের মনে করেন না। অবাক করার বিষয় হলো, যাঁরা সঞ্চয় করেন, তাঁরা সপ্তাহে যা সঞ্চয় করেন, তার দ্বিগুণের বেশি একজন খরুচে ব্যক্তি অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করেন।

খবরে আরও বলা হয়, সঞ্চয়ী মানুষের তুলনায় খরুচে মানুষেরা নিজেদের সম্পর্কগুলোতে তুলনামূলক বেশি সুখী। এ সংখ্যাটা ৭৮ শতাংশ। আর সঞ্চয়ী মানুষদের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৬৩ শতাংশ। কর্মজীবনে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৭৮ ও ৫৭ শতাংশ। আর ব্যক্তিজীবনে যথাক্রমে ৭৭ ও ৭১ শতাংশ। অন্যদিকে খরুচে মানুষেরা তাঁদের আর্থিক জীবন নিয়ে সঞ্চয়ী মানুষের তুলনায় বেশি সুখী। এ হার যথাক্রমে ৭৩ ও ৫৬ শতাংশ।

সিটিজেন পে-এর কমিশনের অনুমোদনে ওয়ানপোল এই জরিপ চালায়। জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৫৯ শতাংশ মানুষ ‘প্রায়ই’ এবং ‘সব সময়’ বড় ধরনের কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর আর্থিক প্রভাব নিয়ে চিন্তা করেন এবং ভাবেন, আদৌ এসব কেনার দরকার আছে কি না। আর খরচ করতে পছন্দ করা ব্যক্তিরা যদিও সব সময় কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন, তারপরও তাঁরা বড় ধরনের কেনাকাটা করতে গিয়ে আর্থিক প্রভাব নিয়ে ভাবেন। এই সংখ্যা নেহাত কম নয়, ৬১ শতাংশ।