আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আত্মজীবনী।
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আত্মজীবনী।

ম্যার্কেলের আত্মজীবনীতে ট্রাম্প-পুতিনের কথা

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কারবার করা সহজ নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তার আগে তিনি আবাসন ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর মানসিকতা ছিল, হয় জয় না হয় পরাজয়। এমন একজন ব্যক্তিকে কীভাবে সামলাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ট্রাম্প যাতে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে না যান এ বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার আগে ম্যার্কেল তাই পোপের কাছে পরামর্শ পর্যন্ত নিয়েছিলেন।

এসব স্মৃতি উল্লেখ করা হয়েছে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রকাশিতব্য আত্মজীবনী ফ্রিডম: মেমোরিজ ১৯৫৪–২০২১–এ। ২৬ নভেম্বর বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশে তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশিত হবে। পরে ওয়াশিংটনে বারাক ওবামার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বইটির মোড়ক উন্মোচন করবেন ম্যার্কেল।

ট্রাম্প যখন ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন ম্যার্কেল বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচিত নেতাদের একজন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে ক্ষমতা ছাড়েন।

ম্যার্কেলের আত্মজীবনীর সারসংক্ষেপ গত বুধবার জার্মান সাপ্তাহিক ডি সাইট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আত্মজীবনীতে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর ট্রাম্পকে সামলাতে তাঁর কঠিন পরিস্থিতির বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে লিখেছেন, ‘রাজনীতিতে আসার আগে ট্রাম্প আবাসন ব্যবসায়ী ছিলেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি সবকিছু দেখেছিলেন। তাঁর কাছে বিষয়টি ছিল একটি জমি একবার বিক্রি করা যেতে পারে। তিনি যদি তা বিক্রি করতে না পারেন, তবে অন্য কেউ তা বিক্রি করে দেবে। তিনি এভাবেই বিশ্বকে দেখেছিলেন।’

ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে কারবার করবেন, সে সম্পর্কে ম্যার্কেল যখন পোপকে পরামর্শ দিতে বলেছিলেন, পোপ তাঁকে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ না ভেঙে যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত চাপ প্রয়োগ করতে থাকুন।’ প্রকাশিত সারসংক্ষেপে পুতিনের নানা স্মৃতির কথাও তুলে ধরেছেন ম্যার্কেল। বইটির প্রকাশক জার্মানির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্যান ম্যাকমিলান।