যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করেছে পুলিশ। ফলে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির এই একাডেমিক ভবনটির (হ্যামিল্টন হল) নিয়ন্ত্রণ নেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা ভবনটির ভেতরে অবস্থান নেন। ভবনের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হ্যামিল্টন হল থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে ভবনে প্রবেশ করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় হ্যামিল্টন হলে পুলিশি তৎপরতা চলছিল।
বিবিসি বলছে, এই মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে। কতজন পুলিশ ভবনে প্রবেশ করেছে কিংবা কতজনকে আটক করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তার কিছুই জানা যায়নি।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সপ্তাহ দুয়েক আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে চলছে বিক্ষোভ। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু সরিয়ে নিতে এবং বিক্ষোভ বন্ধ করতে গত সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা উপেক্ষা করেন বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং বলেছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
তারপরই হ্যামিল্টন হল দখল করেন বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা ভবনে ‘হিন্দস হল’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবের সম্মানে তাঁরা এ কাজ করেছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।