মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে শত্রুতা চায় না, তবে ইসরায়েলকে রক্ষা করবে: ব্লিঙ্কেন

ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা বাড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েলে তেহরান হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

আজ সোমবার ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী তামিমের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা চাই না, তবে আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের সুরক্ষায় সমর্থন অব্যাহত রাখব।’ তিনি ইরানের কর্মকাণ্ডকে নজিরবিহীন উল্লেখ করেন।

গত শনিবার ইরান ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে এর বেশির ভাগই ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান ও অন্য মিত্রদের সহায়তায়।

ইরানের ভাষ্য, চলতি মাসের ১ তারিখ সিরিয়ায় ইরানের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে প্রাণঘাতী হামলার বদলা হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের অভিযোগ, ইসরায়েল সিরিয়ায় ওই হামলা চালিয়েছিল।

ব্লিঙ্কেন বলেন, তিনি ৩৬ ঘণ্টা ধরে আলোচনার মধ্যে জড়িয়ে ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি একটি কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করতে চেয়েছিলেন, যা এ অঞ্চলে সংকট ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসর, সৌদি আরব, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার উদ্বিগ্ন যে এ অঞ্চলকে ‘একটি বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে’। তিনি সব পক্ষকে ‘আত্মসংযমী’ হওয়ার আহ্বান জানান।

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠককে সামনে রেখেই ব্লিঙ্কেন ও ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকটি হয়।